লালমোহনে আবাসিক এলাকায় চামড়া সংরক্ষণ, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, লালমোহন ॥ ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড নয়ানিগ্রামের আবাসিক এলাকা। এই আবাসিক এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করণ করছেন সেলিম সওদাগর নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি একই এলাকার দিন মোহাম্মদ সওদাগরের ছেলে। প্রায় ১ বছর যাবত ওই এলাকার মানুষজন চামড়ার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ। চামড়া ঘরের অপরপ্রান্তে রয়েছে সমজিদ। দুর্গন্ধে মসজিদের মুসল্লিরা নিয়তি নামাজ আদায় করতে সমস্যা হচ্ছে। আবাসিক এলাকা থেকে চামড়ার ঘর সরিয়ে নেয়র জন্য এবং দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত হতে মসজিদের মুসল্লিদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দরখাস্ত দেয়া হয়েছে। তারপরেও সেলিম সওদাগর তার চামড়ার দোকান সরিয়ে নিচ্ছেনা।
মসজিদের কয়েকজন মুসল্লি বলেন, এখানে সেলিম সওদাগর পশুর চামড়া এনে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত করে লবন দেয়, গুদামজাত করে, মসজিদের পুকুরের ঘাটলায় ধৌত করে এবং কয়েকদিন পরে ট্রাকে করে অন্য যায়গায় পাঠায়। তখন চামড়ার দুর্গন্ধে এলাকায় থাকায় কস্টকর হয়ে যায়। মসজিদে নামাজের সময় ফ্যান চালানো যায় না। ফ্যান চলালে দুর্গন্ধে মসজিদে থাকা যায় না। সেলিমকে একাধিকবার এই এলাকা থেকে চামড়ার দোকানটি যেখানে আবাসিক এলাকা নেই সেখানে নেয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু সে কারো কোনো কথা শুনছে না।
লালমোহন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রায়হান মাছুম বলেন, চামড়ার দূর্গন্ধ পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। তাদেরকে একাধিকবার সতর্ক করলেও তারা কথা শুনেনি। ব্যবসায়ী সেলিম সওদাগরকে এ ব্যাপারে বলেন, আমি শিঘ্রই এই ঘরটি ছেড়ে দিব। অন্য যায়গায় ঘর ভাড়া নেয়ার চেষ্টা করছি। পেলেই সেখানে চলে যাব। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, শীঘ্রই দু’পক্ষকে ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।