মনপুরায় সাংবাদিক-ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্ব

ভোলার বাণী রিপোর্ট ॥ ভোলার মনপুরার হাজিরহাট মার্কাস জামে মসজিদে সুন্নত নামাজ পড়ার বিষয় কথা বলায় মনির নামে এক যুবক ক্ষুব্ধ হয়ে মনপুরা উপজেলা যুগান্তর প্রতিনিধি আবদুল্লাহ পাটোয়ারী জুয়েল এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনার পর থেকে সাংবাদিক আবদুল্লাহ জুয়েল নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে না পেরে পুলিশের সহযোগিতা চান। শুক্রবার সন্ধ্যায় পরে প্রেসক্লাব সভাপতি আলমগীর হোসেন ও অন্যান্য সাংবাদিকদের নিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী কবির, আমজাদ ও তামিম জানান, জুয়েল ভাই এশার নামাজের পর নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। তখন মনির তাকে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে চলে যায়। সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার এশার ফরজ নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় কিছু মুসল্লীসহ মনির সুন্নত নামাজ পড়ছিল। এতে যাদের নামাজ শেষ হয়েছে তারা যেতে পারছেনা। তখন আমি ওদের বলছিলাম ভাই আপনারা যারা সুন্নত নামাজে লম্বা কেরাত পড়েন তারা যদি একপাশে গিয়ে পড়েন তাহলে অন্যান্য মুসল্লীদের যেতে পারে। পরে আমি নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে যাই। পরক্ষনে মনির আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করতে যায়। পরে থানায় গিয়ে আমি অভিযোগ দেই।
এই ব্যাপারে মার্কাস জামে মসজিদের ইমাম মুফতি ইউসুফ জানান, সাংবাদিক জুয়েল ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় মনির ভাই গালমন্দ করে। তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে দুইজন বাঁধা দিলে মনির ভাই চলে যায়।
অপরদিকে ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, নামাজ আদায় করতে গিয়ে দেরী হওয়ায় যুগান্তর পত্রিকার সংবাদিক আবদুল্লাহ জুয়েল আমাকে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করেন। গল-মন্দ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে জুয়েলসহ আরো ২ জন তাকে মারধর করে এবং দোকানের কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টার ভাংচুর করে ও হুমকি-ধমকি দিয়ে যায়।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, নামাজ পড়ার বিষয় নিয়ে যুগান্তররের সাংবাদিক আবদুল্লাহ পাটোয়ারী জুয়েল এর সাথে অপর ব্যবসায়ী মনিরের ঝগড়ার খবর পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে বিষয়টি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।