ভোলায় নওমুসলিম জামাইকে বউ, শাশুড়ী ও শ্যালকের নির্যাতনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছিলেন কার্তিক চন্দ্র তালুকদার। ৩ বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম রেখেছেন মোঃ হোসেন রনি। তিনি ভোলা পৌর চরনোয়াবাদের বাসিন্দা। এরপর বিয়ে করেন পূর্ব ইলিশা ৬নং ওয়ার্ডের সুইজগেট এলাকার কাশেম ফরাজীর কন্যা মুক্তা বেগমকে। বিয়ের পরই মোঃ হোসেন রনি সাড়ে ৪ মাসের জন্য তাবলীগ জামাতে যান। তাবলীগ থেকে এসে ভালো কাটে নওমুসলিম রনি ও মুক্তার সংসার। তাদের সংসারে ফুটফুটে এক শিশুও জন্ম নিয়েছে যদিও শিশুটি মৃত্যুবরণ করেছে। নও মুসলিম হওয়ার পর বাবা, মা, ভাই, বোন বলতে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ছাড়া আর কোন আত্মীয় ছিলেন না মোঃ হোসেন রনির। আপন ভেবে ৩ বছরের আয়-রোজগারে সকল কিছুই রেখেছেন শ্যালক ও শাশুড়ীর কাছে।
এ টাকাই যেন কাল হয়েছে মোঃ হোসেন রনির। গত কয়েক মাস আগ থেকে রনি জমি ক্রয় করার জন্য পাওনা টাকা দাবী করেন। এরপরই বউ, শাশুড়ী ও শ্যালক মিলে নির্যাতন শুরু করেন। দফায় দফায় মারধর করেন রনিকে। আপন যাদের ভেবেছে তাদের এ আচরণে ভেঙ্গে পড়েছে রনি। নওমুসলিম রনির উপর এ অত্যাচারে প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। সুষ্ঠু বিচার ও চেয়েছে নওমুসলিম মোঃ হোসেন রনির পক্ষে মুসুল্লিরা।
মোঃ হোসেন রনি জানান, আমি আমার বউকে নামাজের কথাও বলেও দোষ, পর্দা করতে বললেও দোষ, এখন টাকা চাওয়াতে মারধর করে আর বলে তাকে তালাক দিয়ে দিতাম। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুক্তা গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে মুক্তার ভাই অভিযুক্ত মহসিন বলেন, আমি মারধর করিনি তবে গলা ধরে ধাক্কা দিয়েছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।