আগামীকাল থেকে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার ডাকে সাড়া দিয়ে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হাজির হয়েছেন পবিত্র মক্কায়। এবার অর্থাৎ ১৪৪৫ হিজরি সনে পুরো বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করবেন। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার (১৪ জুন, স্থানীয় ৮ জিলহজ)। তবে সংখ্যা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার রাতেই হজযাত্রীদের তাঁবুর শহর মিনায় নেয়া শুরু করবেন মুয়াল্লিমরা। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরামের কাপড় পরে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন হাজিরা।
মিনায় পৌঁছে হাজিরা ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে। তবে খায়েফ ও কুয়েতি মসজিদের কাছাকাছি তাঁবু থাকলে মসজিদে গিয়েও নামাজ আদায় করতে পারেন। ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ দিনের নাম ইয়াওমুল আরাফা। ১৫ জুন ৯ জিলহজ শনিবার সূর্যোদয়ের পর হাজিদের আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতেই নিয়ে যাবেন মুয়াল্লিমরা। সেখানে আগে পৌঁছে গেলে ফজর এবং জোহর-আসর আদায় করবেন আরাফাতের ময়দানে।
চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একই সঙ্গে মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন তিনি। ১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে ৪টি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মু-ন এবং তাওয়াফ জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন ৭টি করে প্রতীকী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হাজিরা মোয়াল্লেম নম্বর ৭ ও ৮-এর অধীনে থাকবেন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে আসা হাজিরা থাকবেন ৩, ৪, ৬, ১১, ২০, ৫৭, ৫৯, ৬০, ৭৫-৭৭, ৯৯, ১০১, ১০৩ থেকে ১৩৭ মোয়াল্লেম নম্বরের অধীনে। মিনায় হাজিদের সহায়তার জন্য ২৪/৬২ নম্বর তাঁবুতে ৫ দিনব্যাপী বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।