অভিযুক্ত সোহাগের ১৫ দিনের জেল ও নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা
চরফ্যাশনে আদালতের হস্তক্ষেপে খুলল মসজিদের তালা
(ফাইল ছবি)
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় মুসল্লীদের মারধর ও ইমামকে লাঞ্চিত করে মসজিদে নামাজ আদায় বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় জিয়া উদ্দিন সোহাগ নামের এক যুবকের জেল ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার (০৮ জুন) দুপুরে জিয়া উদ্দিন সোহাগকে ১৫ দিনের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন চরফ্যাশন উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালেক মুহিদ। একই মসজিদের তালা খুলে মুসল্লীদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেন আদালত। দ-প্রাপ্ত জিয়া উদ্দিন সোহাগ উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বশির আহমেদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪ বছর আগে চরফ্যাশন পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাসিম মুন্সি আছলামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য ৪ লাখ ২০ হাজার টাকায় জিয়া উদ্দিন সোহাগের কাছ থেকে ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমির সকল টাকা পরিশোধ করলেও কাগজপত্রে গরমিল থাকায় জিয়া উদ্দিন সোহাগ দলিল দিতে পারেননি। ৩ বছর আগে ওই জমিতে স্থানীয়রা বাইতুস সালাম নামে একটি জামে মসজিদ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি সোহাগ স্থানীয়দের কাছ থেকে জমির বর্তমান মূল্য হিসেবে টাকা দাবি করেন। অন্যথায় মসজিদে নামাজ পড়তে দিবেন না বলে জানিয়ে দেন।
গত ৩১ মে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় সোহাগ মসজিদে নামাজ না পড়তে ইমাম ও মুসল্লীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং সকলকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এরপর গত ৩ জুন জোহরের নামাজের সময় সোহাগ এক মুসল্লীদেরকে মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেন। এর পর থেকে ওই মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ ছিল।
শুক্রবার (৭ জুন) মুসল্লীরা মসজিদে ঢুকতে না পেরে রাস্তায় জুমার নামাজ আদায় করেন। এ বিষয়ে মসজিদের সভাপতিসহ মুসল্লীরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সালেক মুহিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহাগের কাছে থাকা জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জনাতে পারেন, যেখানে মসজিদ নির্মাণের জন্য তিনি জমি বিক্রি করেছেন, সেখানে তার কোনো জমিই নেই। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত সোহাগকে ১৫ দিনের জেল ও নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আছলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম মিলিটারি জানান, জিয়া উদ্দিন সোহাগের বিরুদ্ধে এর আগেও বহু মামলা হয়েছে। সে এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে জড়িত।