সর্বশেষঃ

মধ্যরাত : পর্ব-২৬০

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),

(গত পর্বের পর) : আমার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল, কিন্তু ঘরে ক্ষীণ আলো জ্বলছিল। আমি চোখ বুঝে উমার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। হঠাৎ ড্রইং রুমে ফোন বেজে উঠল। উমা এসে ফোন ধরল, আমি চুপ করে থাকলাম। উমার কথা শুনে মনে হল ডোরা ফোন করেছে। অনেকক্ষণ অবধি উমা ডোরার সাথে আলাপ আলোচান চালাল। আমার গভীর তন্দ্রায় আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলল। খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর উমা বলল, দাদা কাল রাতে ডোরাদি ফোন করেছিল। আমি বললাম, কি বলল ? উমা বলল, অনেক কথা, বড়দিনে আমাদের দেখবার জন্য আসতে চায়। তুমি কি বললে, আমি বললাম আসুন না ? ডোরাদি বলল, চেষ্টা করব। বেশ আসুক না, আসলে আমি খুশী হব। উমা আর কিছু না বলে চলে গেল।
আমি ভার্সিটিতে যাবার জন্য বাস ধরার জন্য অতি ব্যস্ত হয়ে পরলাম। একটা বাস মিস করলে আবার আধা ঘণ্টার ব্যাপার। ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার সময় বলল, উমা দাদা দোলা আজ আসছে মনে আছে-ত ? আমি বললাম, খু–উ–ব মনে আছে। ৫টায় না, আমি আবার উমার কাছে জিজ্ঞাসা করলাম। উমা বলল হ্যাঁ ঠিক ৫টায়। আমি বাড়ী থেকে হন্ত দন্ত হয়ে কলেজে এসে দেখি অনেক ক্ষণ আগেই ক্লাশ শেষ হয়ে গিয়েছে। চুপ-চাপ কমন রুমে বসে বসে অনেক কথা মনে হল। দোলাকে বাসা থেকেই আনতে যাব। ও আমাকে দেখে শিশুর মত আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠবে। কচ একটু ধীর-স্থির, আনন্দ পরায় না। মস্ত বড় শিল্পি, কিন্তু কখন বিয়ে করে কর্ত্য অটল। গান বাজনা মনে হয় একেবারে ছেড়ে দিয়েছে। অথচ কচকে নিয়ে আমার একটা বড় গর্ব ছিল, সকলের কাছে বুক ফুলিয়ে বলে এসেছি কচ গীটার বাজনায় ওস্তাদ।
তারপর পি,এইচ,ডি পেল; দোলাকে নিজে যেচে এসে বিয়ে করেছে। দেখতে অপুর্ব, এমনি নানা কথায়, নানা জল্পনা-কল্পনায় আমি যেন বিভোর ছিলাম। এমন সময় রাহাত খান এসে ঢুকল। আমি বললাম কি দাদা, অনেক দিন পর এলেন, তারপর কেমন আছেন, ভাবি ভাল-ত ? বাচ্চারা কেমন ? রাহাত খান কতক্ষণ বসে দম নিল। বলল ভাল, ভাল সব ভাল। আমি হেসে ফেললাম, মি খান বললেন- আপনাদের আর প্রফেসাররা কোথায় ? আমি বললাম, বোধ হয় যার যার ক্লাশে উনি নিউজ পেপারটা হাতে নিলেন। আমি বললাম, তারপর দাদা মন্ট্রিলের আর খবরাখবর কি ?

চলবে—————-

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।