সর্বশেষঃ

ভোলায় জমি-জমা নিয়ে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার-২

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ভোলায় জমি জামকে কেন্দ্র করে দুজনকে কুপিয়ে জখম করার খবর পাওয়া গেছে। জখমের পর গুরুতর আহত হলে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ভোলা সদর উপজেলা ভেলুমিয়া ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের মনসুর আলম ওরফে আলম মাঝি এবং তার পুত্র জহিরুল ইসলাম।
স্থানীয় কয়েকটি সুত্র বলছে, প্রতিবেশি হাতেম মাল গং দের সাথে মনসুর আলম ওরফে আলম মাঝির সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জামেলা চলছিল। এ নিয়ে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। তবে গত শুক্রবার ওই বিরোধপূর্ন জমিতে সোয়াবিন তুলতে গেলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। যার ফলে গুরুতর আহত হয়ে পরেন স্থানীয় হাতেম মাল এর দুই ছেলে তারেক মাল এবং লিমন মাল।
ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তারেক মাল জানান, তাদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন জামেলা চলছিল, তবে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা হলেও রায় পান তার বাবা হাতেম মাল, পরে সেই জমিতে থাকা সোয়াবিন তুলতে গেলে স্থানীয় সাবেক মেম্বার তারেক এর সামনে তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি তারেক মালকে উদ্দেশ্য করে কোপ দেয় ফলে আমার পেট কেটে ভুড়ি বের হয়ে যায়, আবার মাথায় উদ্দেশ্য করে কোপ দিলে হাত দিয়ে ঠেকাতে যাই তাতে আমার হাত গুরুতর ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এবং এর পর মাটিতে শুয়ে পরলে এলোপাতাড়ি কোপ এবং পায়ে আঘাত করতে থাকে। তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমি তারেক মাল এর ছোট ভাই মোঃ লিমন মাল ও গুরুতর আহত হন। এ সময় তিনি এর সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
অন্যদিকে এই ঘটনা অস্বীকার করে এই সংবাদের প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহের সময় যখন তারেক মাল এর মামলার পূর্ব মুহুর্তে ওই মামলার ১নং আসামি এবং ২নং আসামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান তখন এই প্রতিবেদক এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মনসুর আলম ওরফে আলম মাঝি প্রতিবেদককে জানান, তার জমি জোরপূর্বক ভাবে দখল করে রেখেছেন হাতেম মাল গংরা। পরে সেই জমির বিষয়ে কথা বলতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তাদের দুজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তারা এই তথ্য প্রতিবেদক কে দেয়ার সময় ভোলা সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।
ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনির হোসেন মিঞা জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর পুলিশ ২ জন কে গ্রেপ্তার করেছে। সেই সাথে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোরদারের পদক্ষেপসহ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।