চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হলেন প্রফেসর মোহাম্মদ উল্যাহ স্বপন
ভোলার ইলিশায় ফের ব্লকে ধ্বস, আতঙ্কে এলাকাবাসি
ওমর ফারুক ॥ ভোলার ইলিশায় ২য় বারের মত ফের ব্লক ধ্বসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি সহ ফেরী ঘাটে থাকা ব্যবসায়ীরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে এটিই ডিজাইন প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল বিকালে ইলিশা ফেরি ঘাট সংলগ্ন এ ব্লক ধ্বসের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালের দিকে হটাৎ করে ইলিশা ফেরি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় প্রায় একশ ফুট এলাকা নিয়ে বেঁড়ি বাঁধের সিসি ব্লক দ্বিতীয় বারের মত মেঘনায় দেবে যায়। এ ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়ে ব্যবসায়ী সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
নদীতে ব্লক দেবে যাওয়ার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, সরেজমিনে দিয়ে দেখা যায়, ভোলা সদরের ইলিশা লঞ্চঘাট সংলগ্নে একই স্থানে দ্বিতীয় দফায় প্রায় ১০০ ফুট জায়গা নিয়ে সিসি ব্লক নদীতে ধ্বসে পরেছে এবং অনেক এলাকা জুরেও ফাটল দেখা দিয়েছে। যা দেখে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নদীর স্রোতে হটাত করেই ব্লক ধসে পড়ার ঘটনা দেখতে পায় তারা। তবে এর পূর্বেও ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এধরনের ব্লক ধসের ঘটনা ঘটেছিলো।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজাজ্জানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি। এতে ভয়ের কোনো কারন নেই। এটি ব্লক ডিজাইনের একটি প্রক্রিয়া। বিষয়টি আমরা নজরে রেখেছি।
উল্লেখ, ভোলার মানুষের কাছে আতঙ্কিত নাম ‘নদীভাঙ্গন, মেঘনার করাল গ্রাসে জমিদারি সহ বাব-দাদর ভিটে মাটি হাড়িয়ে সর্ব শান্ত হয়েছেন জেলার অসংখ্য মানুষ। রাক্ষসী মেঘনার ভাঙ্গনে সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পথে বসতে হয়েছে অনেক পরিবারকে। মেঘনার ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে বছরের পর বছর রাস্তায় নেমে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করতে হয়েছে দ্বীপ জেলার সর্বস্তরের জনগণকে। শুধু ভোলাতেই নয়, নদী ভাঙ্গন নিয়ে আন্দোলন হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে। ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন ভোলার জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক অভিভাবকগণ। আন্দোলন সংগ্রাম আর নেতৃবৃন্দের প্রচেষ্টার ফসল আজকের সিসি ব্লক। সিসি ব্লকের স্থায়ী রক্ষাবাঁধের কারণে নদী ভাঙ্গনের করাল গ্রাসের কবল থেকে স্বস্থিতে ভোলার মানুষ। তাই গ্যাস বিদ্যুতে সমৃদ্ধ ভোলার মানুষ জীবনের জাগরনে নতুন নতুন স্বপ্ন দেখছেন নদী ভাঙ্গুলী মানুষরা। মেঘনায় সব হারিয়ে সর্বশান্ত মানুষ রক্ষাবাঁধ দেওয়ার পর বাঁধের তীরবর্তী এলাকায় গড়ে তুলেছেন ঘরবাড়ি সহ নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, করেছে মার্কেট, আবাসিক হোটেল, রিসোর্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। কিন্ত হঠাৎ করেই ধসে যাচ্ছে স্বপ্নের ঠিকানা রক্ষাকারী সিসি ব্লক। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।