তীব্র তাপদাহে ত্রাহিত্রাহি অবস্থা, ভোলায় বাড়ছে অসুস্থতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তীব্র তাপদাহে এক অস্বস্তিকর সময় পার করছে ভোলা জেলার মানুষ। গড়মে মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে বিভিন্ন প্রাণীকূল। স্থবির হয়ে পড়েছে কর্মক্ষেত্র। ঘর থেকে বেড় হতে সাহস করছেনা অনেকেই। বিভিন্ন স্থানে কমে গেছে মানুষের চলাচল। বিপাকে পড়েছে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
সারা দেশের ন্যায় প্রচন্ড দাবদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। এক অস্বস্থিকর সময় পার করছে জেলার মানুষ। প্রচন্ড গড়মে মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে বিভিন্ন প্রাণী। সূর্যের প্রখর দাপদাহে স্থবির হয়ে পড়েছে কর্মক্ষেত্রে। হিট এলার্ট থাকায় স্বাস্থ্য সূরক্ষা বিবেচনায় শুধু জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় হতে চায়না কেউ। রাস্তা ও হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে কমে গেছে যানবাহন ও মানুষের চলাচল। কিন্ত বিপাকে পড়েছে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষ। গড়মের তাপের কারনে জমিতে কাজ করতে পারছেনা কৃষকরা।
এদিকে গড়মে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভীড় করছে মানুষ। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বশী। প্রচন্ড গড়মে ভোলা সদর মডেল থানার পুকুরের পাড়ে গাছের ছায়ায় রিকসায় বসে ঘুমিয়ে পড়তে দেখা গেছে রিকসা চালক মাইনুদ্দিনকে। পাশেই পুকুরের পানি পান করছে তৃষার্ত পাখী শালিক। দাপদাহে মানুষ ও প্রাণী সকলেরই এক ত্রাহিত্রাহি অবস্থা।
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের দিনমজুর আবুল কালাম বলেন, সূর্যের তাপে গায়ের চামড়া পুড়ে যায়, গড়মে প্রচুর ঘামায়, বিলে গিয়ে কাজ করতে পারিনা। তবুও দু’বেলা খাবারের জন্য মানুষের বাড়িতে কাজ করি। আগে বাঁচতে হবে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুলজ্জামান বলেন, ভোলায় সোমবার দুপুরে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কথা জানিয়ে বলেন, শিগ্রই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।