ভোলার বেতুয়া ঘাট থেকে-চট্টগ্রাম রুটে আবারো চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী জাহাজ
লালমোহনে ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া গাছ নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি ॥ আহত-২

স্টাফ রিপোর্টার, লালমোহন ॥ ভোলার লালমোহনে লালমোহনে কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া গাছ নিয়ে দু’পক্ষের মারামারিতে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই জন। গুরুতর আহত দুইজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পূর্ব চর ছকিনা গ্রামের আলম বাজারের পশ্চিম পাশে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার মাকসুদ উল্যাহ হুজুরের ছেলে হাফেজ রহমত উল্যাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কাজল মুন্সির সাথে আমাদের জয়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার ঝড়ের পর আমাদের জমির একটি মরা গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ায় আমার ভাই মাওলানা নেয়ামত উল্যাহ ভেঙ্গে পড়া ডালটি বাড়িতে নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাজল মুন্সির স্ত্রী ও অন্যান্যরা ওই মরাগাছটি কেটে ফেলে। এসময় আমরা গাছটি কাটার ভিডিও করি। এতে ক্ষিপ্ত হন কাজল মুন্সির স্ত্রী ও অন্যান্যরা। আমরা কেন গাছ কাটার ভিডিও করি এজন্য তারা আমাদেরকে মারা শুরু করে। আমরা মার খেয়ে বাসায় চলে আসি। এরপর কাজল মুন্সির নেতৃত্বে জামাল মুন্সি, মুন্না, বাপ্পি, নয়ন, সামছুসহ প্রায় ২০-২৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের ঘরে ডুকে হামলা করে। এতে আমার বাবা মৌলভী মাকসুদ উল্যাহ, আমাকে, আমার ভাই হাফেজ নেয়ামত উল্যাহ, মেজবাহ উদ্দিন, হেকমত উল্যাহ, এনায়েত উল্যাহ এবং ঘরের মহিলাদের মারধর করে। তখন নেয়মত উল্যাহ মাথায় কোপ দেয়া হয়, মেজবাহ উদ্দিনের পা ভেঙ্গে দেয় তারা। নেয়ামত উল্যাহ ও মেজবাহ উদ্দিনকে দ্রুত লালমোহন হাসপাতালে নিলে তাদের অবস্থা অবনতি হলে ডাক্তার তাদেরকে দ্রুত ভোলা হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ব্যাপারে কাজল মুন্সির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের গাছ আমরা কাটার কারণে তারা আমাদের মহিলাদেরকে ব্যাপক মারধর করেছে তারা এখন লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় রয়েছে।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাহাবুব উল আলম বলেন, মারামারির ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ প্রদান করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।