সর্বশেষঃ

ভোলায় আতঙ্কের আরেক নাম কিশোর গ্যাং

টিপু সুলতান : সম্প্রতি ভোলায় কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যা ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। মূলত রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব কিশোর নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টেছে। যার দরুন অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, এই জেনারেশন দেশকে আসলে কোথায় নেবে ?এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনোখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতেও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ এই বয়সে তাদের মাঠে খেলাধুলা করার কথা। নতুন নতুন উদ্ভাবনী কাজে অংশগ্রহণ করার কথা।

গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী ) ঘটনাটা দেখলেই বুঝা যায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য কতটা বেড়েছে।এমন অসংখ্য ঘটনা এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে। এই তো কয়েকদিন আগে ভোলার দৌলতখানে কিশোর গ্যাং হামলায় নিহত হন কলেজ শিক্ষার্থী রাব্বি। বিভিন্ন সময় তারা ২০ থেকে ২৫ জন একসঙ্গে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে ছিনতাই ও সন্ত্রাস চালায়।

জানা গেছে, ভোলার পরানগঞ্জ বাজার, বিশ্ব রোড ভাষা স্মৃতি কলেজ সড়ক, বাপ্তা চৌদ্দঘর রবি টাওয়ার , ঘুইংগার হাট কাজি ও মুন্সি বাড়ির ব্রীজ সংলগ্ন , খেওয়া ঘাট ব্রীজের উপরসহ বিভিন্ন জায়গায় সংঘবদ্ধভাবে তারা এসব ঘটনা ঘটায়। এসব চক্র স্থানীয়ভাবে ‘কিশোর গ্যাং’ নামে পরিচিত। যাদের বড় অংশ কিশোর হলেও নেতাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছর। তাদের ‘সিনিয়র’ বা ‘বড় ভাই’ বলে ডাকে চক্রের সদস্যরা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব চক্রের নেতাদের বেশির ভাগই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অথবা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।