সর্বশেষঃ

বাঁশখালীতে নারী নির্যাতন মামলার আসামী গ্রেফতারের পরে আদালতে জামিন, আতংকে বাদী

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান হান্নান ৷৷ নারী ও শিশু মামলা নং-৯০/২২, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী-২০০৩ এর ১১(গ)/৩০ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-০১ চট্টগ্রাম এর স্মারক নং-২১৭/২২ তারিখ ২৪/০৩/২০২২ খ্রিঃ এর গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী মোহাম্মদ জসিম চৌধুরী, পিতা: আলী আহমদ চৌধুরী- গ্রাম: রত্নপুর ৩ নং ওয়ার্ড, থানা: বাঁশখালী, জেলা চট্টগ্রাম- আদালত কে না জানিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগ গত ১৪/০২/২৪ ইংরেজী রাত ৮টায় জসিম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। ইমিগ্রেশন বিভাগ বাঁশখালী থানাকে অবহিত করলে তাকে বাঁশখালী থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে আসামী আদালতের মাধ্যমে ১৯/০২/২৪ তারিখে জামিনে বেরিয়ে আসে। জামিন নিয়ে আসামী জসিম চৌধুরী বাদী পক্ষকে বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নেওয়া সহ হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য মামলার বাদীনি (সংগত কারনে নাম প্রকাশ করা হয়নি) ও আসামী পরস্পর স্বামী-স্ত্রী। জানা যায় আসামী জসিম চৌধুরী বিভিন্ন কারণে অকারণে বাদীনিকে শাররীক, মানষিক ভাবে নির্যাতন চালাত। তাদের ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। জসিম চোধুরীর সহযোগী হিসেবে তার বাবা-মা, ভাই-বোন, আলী আহমদ (৫৫) রুবি আকতার (৫০) পান্না আক্তার (২৭) মুহাম্মদ আকবর (২২) এরাও বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।বাদীনি তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দায়ের করে, তা আসামি পক্ষ বাহুবল দেখিয়ে মানে নাই।পরে বাদী বাধ্য হয়ে উপজেলা সমাজ সেবা হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে। জসিম চৌধুরী ছাড়া বাকি আসামিরা আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্য হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। জসিম চৌধুরী (২৯) এর উপর আদালতের পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশ যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।বাদী পক্ষের আশংকা আসামী আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে চুপিসারে বিদেশ চলে যেতে পারে এবং অন্য আসামিরা মিলে তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। তাই বাদীনির জোর দাবী সংশ্লিষ্ট সকল কতৃপক্ষের নিকট অতি দ্রুত সুষ্ঠু বিচারের আওতায় তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হউক।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।