সর্বশেষঃ

ভোলায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের সাথে ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা

মোঃ মনছুর আলম ॥ ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ এবং নকল ভেজাল মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও অ্যান্টিবায়েটিকের যৌক্তিক ব্যবহার করণে রবিবার বিকালে ভোলার ঔষধ প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসনের সুমন বিশ্বাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য মোঃ ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ ব্যবসায়ী মোঃ ইসমাইল হোসেন ভুট্টু, বিমান দে। উপস্থিত ছিলেন মোঃ নুরে আলম, শ্যাম সুন্দর, মোঃ ইব্রাহীম, সাইফুল ইসলাম।
ভোলার ঔষধ ব্যবসায়ীদের মধ্য আরো উপস্থিত ছিলেন আকবর হোসেন, মোঃ রিয়াজ, মোঃ হাসান, নুরে আলম মেম্বার, মোঃ সুজন, রাজীব প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় করেন মোঃ আবু তাহের। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মনছুর আলম।
মতবিনিময়কালে সুমন বিশ্বাস বলেন, ঔষধ ও কসমেটিক্স আইন- ২০২৩ এই আইনের ৩৩টি ধারা আছে এদের মধ্যে ৯টি ধারা আমলযোগ্য এবং অজামিন যোগ্য। বাকি ধারা জামিনযোগ্য এবং ও আমল যোগ্য। এই আইনে নকল ভেজাল ঔষধ বিক্রয় করলে ১৪ বছর কারাদন্ড, লাইসেন্সবিহীন ঔষধের দোকান পরিচালনা করলে ৫ বছর কারাদন্ড ও ৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান দেখে তৈরি করা হয়েছে। ১৯৪০ ও ১৯৮২ সালের ঔষধ আইন রোহিত ক্রমে নতুন আইন ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে।
আপনারা যদি সঠিকভাবে মানসম্মত ঔষধ বিক্রি করেন তাহলে আপনাদের ভালো কাজের সাথে আমি আপনাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করবো। আর সঠিক ভাবে ব্যবসা করবেন। দেখবেন ভালো থাকবেন আর ঔষধ ব্যবসা করতে হলে সবাইকে ঔষধ প্রশাসনের আইন মেনে চলতে হবে। ফার্মেসীতে ফার্মাসিস্ট করা লোক ও বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে। নকল ও ভেজাল ঔষধ বেচা কিনা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।