শতাধিক বসতঘর ভেঙ্গে পড়ার শঙ্কা !

ভোলায় অর্ধকোটি টাকার খনন প্রকল্প, কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি

এইচ এম নাহিদ ॥ ভোলায় এলজিইডির খাল খনন (আইপিসিপি)’র প্রকল্পের কাজে অনিয়ম, কৃষকদের বড় ইরিগেশন প্রজেক্ট ও মৌসুমি সবজির প্রায় ৩শত একর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ও শতাধিক বসতবাড়ি ভেঙ্গে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার ক্ষমতাসীনদের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানিয়দের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এই প্রকল্পের বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।
সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়ায় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বান্দের পাড় খালের এলজিইডির আইপিসিপি প্রকল্পের আওতায় অর্ধকোটি টাকার ২ হাজার ৩শত মিটার খাল খননের কাজ শুরু করেছেন মের্সাস ষ্টার প্লাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে ঠিকাদার কবির হোসেন। ভেদুরিয়ার খাঁজুর তলা থেকে হাজিরহাট রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় শোয়া দুই কিলোমিটার খালে বাঁধ দিয়ে খাল খনন কাজ শুরু করেন। খালের দুইপারের ৩শত একর জমিতে রয়েছে কৃষকের ইরিগেশন প্রজেক্ট মৌসূমি ফসল। উক্ত ঠিকাদার পানি সেচের বিকল্প ব্যাবস্থা না করায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
কৃষক কালু সর্দার, ইব্রাহিম, মহিউদ্দিন, কবির হোসেন জানান, খালে বাঁধদিয়ে, ফসলি জমিতে মাটি ফেলে ও পানির ব্যাবস্থা না করে ঠিকাদার কবির হোসেন আমাদের সর্বশান্ত করার চেষ্টা করছেন। আমাদের তরমুজ, ইরিদান, মৌসূমি সবজি দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছে। অতিদ্রুত পানির ব্যাবস্থা না করলে আমারা পথে বসে যাব। দায় দেনায় বউ বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। অন্যদিকে ঠিকাদার খননকৃত খালে ভেকু বসিয়ে খালের ভিতরেই মাটি ফেলে খালের দুইপার সেব করে যাচ্ছেন। ফলে বাঁধছেড়ে দিলে খালের দুইপার ভেঙ্গে প্রায় সারে ৩শত বসতঘর ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানিয়রা।


এই বিষয়ে ঠিকাদার কবিরের সাথে আলাপ করলে তিনি তেলেবেগুনে ক্ষেপে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কাজটি ভোলার এক নেতার, আপনাদের জানা উচিৎ। এই সময়ে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলেন, ক্ষমতা থাকলে কাজ বন্ধ করান। আমি সবাইকে পকেটে রাখি।
কাজের তদারককারী এলজিইডির মাহাবুবুর রহমান বলেন, কাজের ফিজিবিলিটি দেখার জন্য কর্মকর্তাগণ কেউ আসেনি তাই এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।
স্থানিয় ইউপি সদস্য মোঃ হোসেন বলেন। খাল খননের নামে স্থানিয়দের ব্যাপক ক্ষতি করে খনন কাজ করা হচ্ছে। ফলে উপকারে চেয়ে ক্ষতির সম্ভবনা বেশি। কে কার কথা শুনে।
খাল খনন প্রসংঙ্গে সদর উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, ভেদুরিয়ায় খাল খনন কাজ চলছে এ বিষয়ে আমি জানিনা। তবে অভিযোগগুলো আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নেব। কৃষকদের ক্ষতি করে ঠিকাদার কাজ করতে পারেনা।


জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, খাল খনন কাজে কৃষক ও স্থানিয়দের ক্ষতি করে এমন কাজ করা যায়না, বিষয়টি আমি দেখে ব্যাবস্থা নেব।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।