সর্বশেষঃ

মধ্যরাত : পর্ব-২৩৫

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),

(গত পর্বের পর) : দোলা-উমা এ দুজনের উপর আমার বিরাট কর্তব্য। দায়িত্ব, নিষ্ঠা, ত্যাগ, তিতিক্ষার দেবীমুলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করব। আর ডোরা যদি আপনতা উদারতায় উজরতায় আমার প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করে আমি সানন্দে গ্রহণ করব। অপার্থিব ভালবাসার অনেক দাম। ভোগে শান্তি নয়, ত্যাগেই শান্তি। মানুষের মহত্ত সেখানেই। আমি ডোরাকে যে চোখে দেখেছি, আজ আমার সে চোখের পরিবর্তণের সময় এসেছে। ডোরা আমার বন্ধু, আমার মানস প্রিয়া নয়। অনেক রাত হল, বড় ঘড়িটায় ঢং ঢং করে ১১টার ঘণ্টা পড়ল। আমি ড্রইং রুমে উঠে বেডরুমে গেলাম। দেখলাম কখন কোন সময় উমা এসে আমার বিছানা পত্র গুছিয়ে রেখে মাথার পাশে ছোট টেবিলটায় এক গ্লাস জল ঢেকে রেখে যায়, আজ পর্যন্ত কোনদিন কোন সময় আমার সামনা সামনি পরেনি। বিছানাটা কেমন সুন্দর, টান টান করে পরিপাটি করে রেখেছে। উমার এ একটা মহৎ গুন।
জানিনা এর মর্যাদা কতটুকু দিতে পারব। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কিছুতেই যেন ঘুম আসে না। অনেকক্ষণ এপাশ-ওপাশ করলাম। চোখ বুঝে অনেক অনেক কিছু ভাবলাম। রাত তখন দুটো, বড় ঘড়িটায় ২টার ঘণ্টা পরল। একটু যেন তন্দ্রা এল, স্বপ্নে দেখলাম, সুশান্ত আর আমি মস্ত বড় একটা সমুদ্র সাতার কেটে পার হচ্ছি। দেখি সুশান্ত খুব হাসি খুশি, উচ্ছলতায় এপাশ-ওপাশ হয়ে সাতরে সাতরে যাচ্ছে। আমি বললাম, সুশান্ত দাড়া, দাড়া। আমার আগে আগে সাতরে যাস নে। সুশান্ত একবার আমার দিকে ফিরেও তাকাল না। হঠাৎ তন্দ্রা আমার ছুটে গেল। দেখলাম ঘামে আমার তন্দ্রা ছুটে গেল। ভাবলাম, সুশান্ত আমার সাথে একটু কথাও বলল না। ওকি আমার সাথে রাগ করেছে। অনেক কথা ভাবতে আমার সকালের ভার্সিটির যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। নাশতা খেয়ে তাড়াতাড়ি বাসষ্টেসনে দাড়ালাম। বাস ভর্তি লোক, উঠে পরলাম। বাস স্টপেজে নেমে ভার্সিটিতে অনেক খানি পথ হেটে যেতে হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ইউনিভার্সিটিতে এসে পৌছে কমন রুমে গেলাম।
দেখি রাহত খান এসে বসে আছে। বললাম, কি দাদা; কি ব্যাপার, এখানে কেন ? বলল, অন্যান্য প্রফেসারদের সাথে কি কথা আছে। আমি আর কথা না বাড়িয়ে ক্লাশে গেলাম। সেদিন অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্লাশ করলাম। ক্লাশ থেকে বেড়িয়ে কমন রুমে ঢুকে দেখি রাহাত খান চলে গেছে। আরও আমার বন্ধু-বান্ধবরা গল্পের আসর জাকিয়ে বসেছে। আমিও সেই আসরে শরিক হলাম।

(চলবে——–)

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।