ভোলার মেঘনায় ট্রলার ডুবি : ২দিন পর ট্রলার উদ্ধার, সন্ধান মিলেনি নিখোঁজ বাবা-ছেলে’র

বনি আমিন, ইলিশা ॥ ভোলার মেঘনা নদীতে মালবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২দিন পর ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধা করা হয়েছে। তবে নিখোঁজ বাবা-ছেলেকে ট্রলারের মধ্যে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) বিকেলের দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, রবিবার (২১ জানুয়ারী) রাতে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটলেও তীব্র শীত ও রাত হওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ চালাতে পারেনি। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নৌ-পুলিশ, ইলিশা ফাঁড়ির পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিসের টিমসহ উদ্ধার কাজ কার্যক্রম শুরু করেন। সারাদিন খোঁজা-খুঁজির পর রাত ৮টার দিকে ডুবুরির কাছ থেকে খবর মিলে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া যায়। রাত হওয়ার কারণে সেদিন আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরের দিন (২৩ জানুয়ারী) সকালে উদ্ধার কাজের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে ডুবুরিদের দল। অবশেষে বিকাল ৩টার দিকে ট্রলারটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে নিখোজ বাবা-ছেলেকে ওই ট্রলারের মধ্যে পাওয়া যায়নি।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ এর নদীবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মেঘনায় ডুবে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারের মধ্যে বেশকিছু মালামাল থাকলেও নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদারের মরদেহ পাওয়া যায়নি।
এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে চাঁদপুরের বেসরকারি একটি ডুবুরি টিম ও বিআইডব্লিউটিএ এর কয়েকজন ডুবুরি ট্রলারটিতে রশি বেধে টেনে জোরখাল নামক জায়গায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ইলিশা নৌ-পুলিশ, তদন্ত কেন্দ্রের টিম, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।
ট্রলারটির মালিক ফারুক মাঝি। তিনি ভাঙ্গারি মালামালের ব্যবসা করেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে নদী পথে ট্রলারের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করেন। ডুবে যাওয়ার সময় তার ট্রলারে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল ছিল বলে জানান তিনি। ট্রলার মালিককে ট্রলারটি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছি।


এদিকে নিখোঁজ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদারের নিখোঁজ হওয়ার খবরে স্বজনরা মেঘনা নদীর জোরখাল নামক তীরে এসে জড়ো হয়। এ সময় তাদেরকে আহাজারি করতে দেখা গেছে। তারা আব্দুল রাজ্জাক ও পারভেজ সরদারের মরদেহের অপেক্ষায় থাকলেও ডুবে যাওয়া ট্রলারে কোনো মরদেহ না থাকায় হতাশ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে ভোলার মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ যাওয়ার পথে তীব্র ¯্রােতে মেঘনার জোরখাল পয়েন্টে ডুবে যায় রাজ্জাক মাঝির মালবাহী একটি ট্রলার। ট্রলারে থাকা ৭ জনের মধ্যে ৫ জন জীবিত উদ্ধার হলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২ জন। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক সরদার ও তার ছেলে পারভেজ সরদার। তাদের বাড়ি বরিশালে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।