সর্বশেষঃ

মাদারীপুর থেকে মায়ের চিকিৎসার টাকা ভুলে বিকাশে আসে ভেদুরিয়ায়। টাকা নিয়ে দুই প্রতারকের তালবাহানা

ইয়ামিন হোসেন : রুখবো প্রতারক রাখবো টাকা নিরাপদ, বিকাশের এই স্লোগানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভোলায় অভিনব কায়দায় প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়ার বিচ্ছিন্ন চর চটকিমারার বিকাশ ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেন । আনোয়ার হোসেনের সহযোগী বনে টাকা আত্মসাৎ করার কৌশল করেন একই এলাকার ইউসুফ সনি নামক এক ব্যাক্তি।

অভিনব কৌশলে বিকাশ ব্যাবসায়ী আনোয়ার নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত কোন সিম ব্যাবহার না করে চরের সহজ সরল মানুষের নামে সিম রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে নিজে সেই সিম ব্যাবহার করেই করেন অসাধু প্রতারণা।
আনোয়ার তার সহযোগী যুক্ত করেন ইউসুফ সনি কে। ইউসুফ সনি নিজের নামে সিম না ক্রয় করে জনৈক মাসুদা নামে রেজিষ্ট্রেশন করা সিমে গত ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ মাসুদার নামে ক্রয়করা সিমে এ মাদারীপুর জেলা থেকে নাম্বার ভুল করে আঠারো হাজার ৮১৫ টাকা আসলে পরে টাকা তারা অসাধু লোক মনে করে টাকা পাঠানো ব্যাক্তি আইনের আশ্রয় নেন। অতপর টাকা ফেরৎ দেবে বলে জানিয়ে সিম টি বন্ধ রাখেন ইউসুফ সনি ।

আজ শনিবার (১৩ই জানুয়ারী) অভিযুক্ত ফোন নং ব্যাবহারকারী আনোয়ার ও ইউসুফ সনিকে ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর চটকিমারা এলাকায় সন্ধান পেলে তারা টাকা আত্মসাৎ এর ডকুমেন্ট দেখিয়ে তাদের টাকা ফেরৎ দিতে বললে আনোয়ার ও ইউসুফ সনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন । এমন কি প্রথমে এ ঘটনার সাথে তারা জড়িত নয় বলে দাবী করেন। চর চটকিমারা শতাধিক লোকের সামনে তথ্য উপাত্ত দেখালে স্বীকার করেন।
স্থানীয়রা জানান, আনোয়ার আর ইউসুফ সনি বিচ্ছিন্ন চর চটকিমারার একটি সিন্ডিকেট। তারা সহজ সরল মানুষের নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এ ছাড়া বিচ্ছিন্ন চটকিমারার মোবাইল চোর চক্রের প্রধান হিসেবে ও আনোয়ার বেশ পরিচিতো।
এ প্রতিবেদককে রাত ১০:৫ মিনিটে মোবাইলে ইউসুফ সনি জানান, আপনারা এ পর্যন্ত আসবেন জানা ছিলো না, আপনাদের কে দিয়েছে তথ্য? আমিতো টাকা তুলে বিকাশ বন্ধ করে দিয়েছি। প্রতারক ইউসুফ ভুলেই গিয়েছি যে বর্তমান সরকার জনগণের সুবিধাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল সিস্টেম চালু করেছে । এক পর্যায়ে ইউসুফ সনি বলেন, কাল থানায় টাকাটা জমা দিতে একজনে বলেছে আপনারা ও আইসেন ভাই।
এদিকে এ চক্র নতুন নয়, চটকিমারার প্রভাবশালী একটি মহলের ইন্ধনে গরু চুরি,ডাকাতিসহ বেশ কিছু অপরাধের সাথে জড়িত। বিচ্ছিন্ন এলাকায় চোরাই মাল হেফাজত করাই আনোয়ার ইউসুফের দায়িত্ব বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান জিডির কপি পেলে আমরা প্রচলিত আইনের আলোকে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।