ডেস্ক রিপোর্ট ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার ৪টি আসনে আওয়ামীলীগ ছাড়া সাবেক এমপিসহ প্রতিদ্বন্দ্বী সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাই জামানত হারিয়েছেন। ৪টি আসনেই বিপুল ভোটে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা পুনরায় জয়লাভ করেছেন। কিন্তু তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বিজয়ী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের ধারে কাছেও যেতে পারেননি। ভোলা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া নির্বাচনী ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। কিন্তু বিজয়ী ৪ প্রার্থী ছাড়া বাকি ১২ প্রার্থী সেই পরিমান ভোট পায়নি। ফলে তাদের সকলের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ঘোষিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলের বার্তাশিট পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনী ফলাফলে আরো দেখা গেছে, ভোলা-১ (সদর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ১৮৬৭৯৯ ভোট পেয়ে ৯ম বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাহজাহান (লাঙল প্রতিক) পেয়েছেন ৫৯৮০ ভোট। জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. ছিদ্দিকুর রহমান (মশাল প্রতিক) পেয়েছেন ৩৮২১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত রক্ষার জন্য এদের প্রয়োজন ছিলো ২৪৫৭৫ ভোট।
অপরদিকে ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরাহানউদ্দিন) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আলী আজম মুকুল পেয়েছেন ১৫৯৩২৬ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী (বাইসাইকেল প্রতিক) পেয়েছেন ৩১৯১ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান (ডাব প্রতিক) পেয়েছেন ২০০১ ভোট। তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী শাহেনশাহ মো. শামসুদ্দিন মিয়া (ফুলের মালা প্রতিক) পেয়েছেন ১৩৯১ ভোট পেয়ে জানাত হারিয়েছেন। জামানত রক্ষার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিলো ২০৭৩০ ভোট।
ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন পেয়েছেন ১৭১৯২৭ ভোট পেয়ে টানা ৪র্থ বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে স্বতন্ত্র প্রার্র্থী মেজর (অব:) জসিম উদ্দিন (ঈগল প্রতিক) পেয়েছেন ১৭৮৮৬ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন (লাঙল প্রতিক) পেয়েছেন ১৬৫৩ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মো. আলমগীর (ডাব প্রতিক) পেয়েছেন ১৫১১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত রক্ষার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ২৪১২২ ভোট।
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পেয়েছেন ২৪৬৪৭৮ ভোট পেয়ে ৪র্থ বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান (লঙল প্রতিক) পেয়েছেন ৬০৪৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ( মাথাল প্রতিক) পেয়েছেন ৪৮২৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মো. হানিফ (সোনালী আঁশ প্রতিক) পেয়েছেন ৩২৭৮ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন (আম প্রতিক) পেয়েছেন ২৩৮৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত রক্ষায় তাদের প্রয়োজন ছিলো ৩২৮৭৭ ভোট।
সম্পাদকঃ মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান