আনারস প্রতিকের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানালেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
লালমোহনে পোলিং-প্রিজাইডিং নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার লালমোহনে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউসুফ হারুনের বিরুদ্ধে। ৮ম ও ১০ম গ্রেডের শিক্ষকদের পোলিং অফিসার এবং ১৪তম গ্রেডের জুনিয়র শিক্ষকদের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সহকারী প্রধান জানান, আমরা সহকারী শিক্ষক ১০তম গ্রেড হিসেবে আগেও সকল নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছি। এখন সহপ্রধান হিসেবে ৮ম গ্রেডে রয়েছি। তবে এ বছর আমাদের পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। লালমোহন নির্বাচন অফিসার জুনিয়র শিক্ষকদের (১৪তম গ্রেড) সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে চিঠি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ করানো হয় লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে প্রশিক্ষণের জন্য আসা শিক্ষকরা জানান, চরম অব্যবস্থাপনা মধ্যে চলছে এই প্রশিক্ষণ। আমাদের ৯ টায় থাকার কথা বলে ১০ টার আগে আসেনি নির্বাচন অফিসের কেউ। এমনকি খোলা হয়নি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তালা।
এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২৮ তারিখ করা হয়েছে। অথচ ওই শিক্ষকদের আগে জানানো হয়নি। তারা ভেন্যুতে এসে জানতে পারেন প্রশিক্ষণ হবে ২৮ তারিখ। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। যারা প্রশিক্ষণ করেছেন তাদের যাতায়াত ও খাবারের জন্য ৯শত টাকা করে দিয়ে রেভিনিউ স্টাম্পের জন্য ১০ টাকা করে রাখা হয়। তবে রেভিনিউ স্টাম্পে স্বাক্ষর না নিয়ে স্বাক্ষর রাখা হয়েছে সাদা সিটে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউসুফ হারুন বলেন, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের ইউএনও অফিস থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমি শুধু চিঠি দিয়েছি। প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের যথা সময়ে প্রশিক্ষণ হয়েছে। আর যখন আমি ভাউচার করবো তখন রেভিনিউ স্টাম্প লাগিয়ে দিব।