সর্বশেষঃ

ভোলায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি, খোরাকির চিন্তায় দিশেহারা কৃষক

জে আই সবুজ ॥ ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ভোলার কৃষকদের ভেঙ্গেছে মেরুদন্ড। ঘূর্ণিঝড়ে অতিবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় বছরের খোরাকি নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। চাল কিনে খেতে হবে এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে পূর্ব ইলিশার গুপ্ত মুন্সি গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে তলানো কাচা আমন ধান; মিশে গেছে মাটির সঙ্গে।
পূর্ব ইলিশার খোকন বলেন, প্রতি বছর কোনো না কোনো দুর্যোগ হানা দেয় উপকূলীয় এই জেলায়। কৃষকের বড় ধরনের আয়ের উৎস হল আমন ধান। কৃষকরা ধার দেনা করে এবং অনেক কষ্ট করে ধান আবাদ করেন। কিন্তু ক্ষেতে ফলন ধরার পরপরই এসে হাজির ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। তাই কৃষক দের স্বপ্ন এখন দুরস্বপ্ন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, জমির ধান সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই এখন না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হবে। সরকার যদি আমাদের সার, বীজ দিয়ে সাহায্য না করে তাহলে আর সামনে কোনো ফসল ফলাতে পারবেন না বলে জানান তারা।
কৃষক কাসেম মিয়া বলেন, আমি ধার-দেনা করে আমার ৮০ শতাংশ জামিতে আমন ধানের চাষ করেছি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে আমার সবকিছু শেষ হয়ে গছে। একই এলাকার কৃষক মনির বলেন, আমাদের সবকিছু এই ধানের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখন যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এতে বছরের খোরাকি হবে না। সমগ্র ভোলা জেলায় মিধিলির প্রভাবে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি অফিস।

ভোলা জেলা কৃষি উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারেসুল কবির বলেন, জেলার ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে, এখন ধান কাটলে কোনো ক্ষতি হবে না। এবারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯২৬ হেক্টর । তবে ঝড় বৃষ্টির করনে ৫% ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবারও মোটামুটি ভালো ফলন হওয়ার আশাকরি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।