ভোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে জমিতে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল (৫ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী কবির আহমদ বলেন, ধনিয়া মৌজার এসএ ৩৮৪ খতিয়ানের ৪০ শতাংশ জমিতে দলিল সূত্রে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে মালিক দখলদার দিযুক্ত আছি। অথচ মোহাম্মদ উল্লাহ গংরা উক্ত জমিতে তাদের স্বত্ব দাবি করে। তারই প্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভোলা ১৫২/২৩ নং ফৌজদারি মামলা মূলে ১৪৪, ১৪৫ ধারা জারি করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, কোনো পক্ষই উক্ত জমির কোন আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে পারিবে না। অথচ গত ৩ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে বহিরাগত মদদ নিয়ে আমার দখলীয় জমিতে ঘর উঠায় মুহাম্মদ উল্লাহ ফরাজি সহ প্রতিপক্ষ।
ভুক্তভোগী কবির আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, এই ঘটনায় জাকির, জাফর, জামাল, সামসুদ্দিন, সুরমা বেগম, তাসলিমা বেগম, শাহিনা বেগম ও রানু বিবি সহ বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। মামলা সুত্রে জানা যায়, রেকর্ডিয় মালিক আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে মোজাম্মেল হক ও শামসুদ্দিন আহমেদ ওয়ারিশ সূত্রের মালিক দখলদার থাকিয়া ২৭ আগস্ট ১৯৯১ ইং তারিখে রেজিস্টারকৃত ৪৭০৯ নং দলিলে সৈয়দ আহমেদ ওরফে অলু মজুমদারের নিকট বিক্রি করিয়া সরেজমিনে দখল অর্পণ করেন। সৈয়দ আহমেদের মৃত্যুতে তাহার ওয়ারিশগণ বিগত ৩০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে রেজিস্টারকৃত ২২৩৬ নং দলিল মূলে মোহাম্মদ কবির আহমেদের কাছে ৪০ শতাংশ ভূমি বিক্রি করিয়া দখল অর্পণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বিরোধপূর্ণ এই জমিতে গভীর রাতে অর্ধশতাধিক লোক ঘর তোলে। ইচ্ছা থাকলেও আমাদের পক্ষে এতো গভীর রাত্রে তাদেরকে প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি। তবে ৯৯৯ কল করার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসেছে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ মো জাফরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ১৯৬৪ সালে দলিল করেছি, নামজারি আছে। রাতে ঘর তোলার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো শাহীন ফকির বলেন, জমি সংক্রান্ত এমন অভিযোগ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিবাদীপক্ষ রাতের অন্ধকারে ঘর তুলেছে, ঘরে লোক বসবাস করতেছে। তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ভুক্তভোগীর জিডি মুলে কোর্টের আদেশ ভায়োলেশনের বিষয়টি কোর্টকে অবহিত করেছি।