রেজাউল করিম নাঈম হত্যার স্মরণে বৃহত্তর মৌলভীবাজার পরিবাররে উদ্যোগে দোয়া মাহফিল 

মঙ্গলবার  রাত পর্তুগালের লিসবনের সন্ধ্যা ৮ ঘটিকায়  স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে রেজাউল করি করিম নাঈমের নৃশংস হত্যার স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বৃহত্তর মৌলভীবাজার পরিবার। দুর্বৃত্তদের নির্মম হামলার শিকার হয়ে অকালে প্রাণ দিতে হলো তাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়া ও ফেক আইডি খোলার অভিযোগ তুলে পিতা ও পুত্রকে মারধর করে পুত্রকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের শহরতলী টিবি হাসপাতাল সড়কের বর্ষীজোড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় রেজাউল করিম নাঈম নামের এ কলেজছাত্র খুন হয়েছেন। কলেজছাত্র নাঈমের বাবা মো. চেরাগ মিয়া (৫৩) একটি ফেক ফেসবুক আইডি খুলেছেন ও পোস্ট দিয়েছেন- এমন অভিযোগ এনে একই এলাকার নুরুল মিয়ার নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এর আগে ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে নাঈমের বাবা মো. চেরাগ মিয়ার সঙ্গে ওইদিন বিকালে কথা-কাটাকাটি হয় একই এলাকার নুরুল মিয়ার। এর জের ধরে রাতে তাদের বসতঘরে প্রবেশ করে ফের ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার বিষয় নিয়ে কথা তুলে নাঈমের বাবা চেরাগ মিয়াকে অতর্কিত মারধর শুরু করে। বাবাকে রক্ষা করতে নাঈমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় তারা। এ সময় নুরুল মিয়ার সঙ্গে রনি, জনি, আলামিন, আনোয়ার, শাকিল, জেসি বেগম, পারভীন বেগম, নাসিমার ছেলে সুহান ও রুহান, ইমনসহ পাশের বাড়ির ১৫ থেকে ২০ জন পূর্বপরিকল্পিতভাবে দা, চাকু, দেশীয় অস্ত্রসহ হামলায় অংশ নেয় বলে জানায় নাঈমের পরিবার। এ সময় নাঈম আত্মরক্ষার্থে বসতঘরের একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা আটকিয়ে দেয়।হামলাকারীরা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে তার মৃত্যু হয়। নিহত

নাঈমের পিতা মো. চেরাগ মিয়া জানান, তারা ফেসবুকের ভুয়া অভিযোগ তুলে প্রথমে আমাকে পরে আমার পরিবারের সদস্য ও আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে ঘরে ঢুকে সবার চোখের সামনে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই বয়সে ফেসবুকের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। আমার ছেলেও কোনো আইডি খোলেনি ও পোস্ট দেয়নি। তারা অযথা ঝগড়া বাধিয়ে আমার ছেলেকে দুনিয়া থেকে তুলে দিলো। আমি এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি চাই।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পর্তুগাল থেকে মৌলভীবাজারে কমিউনিটির পক্ষ থেকে আসামিদের দ্রুত ফাঁশির কার্যকর করার দাবি জানান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।