সর্বশেষঃ

ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে ভোলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, দিশেহারা কৃষকরা

ইয়ামিন হোসেন ॥ ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে ভোলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হওয়াসহ উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিনষ্ট হয়েছে ক্ষেতের আমন ফসল ও শাকসবজি এবং পানের বরজ। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে পুরো জেলায় শুক্রবার থেকে শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ৭০ ভাগ সংযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন জেলাবাসী।
শনিবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর, ইলিশা, চর বৈরাগীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় আমন ধান, শাক সবজি ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনো পানিতে তলিয়ে আছে অনেক ফসলি খেত। পূর্ব ইলশা ৭নং ওয়ার্ড, রাজাপুরের ৫নং ওয়ার্ডে কয়েকটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। রাজাপুর গ্রামের কৃষক কালু সর্দার বলেন, মাঠে এখন আমন ধান রয়েছে। এই সময়ে বাড়তি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া যদি থাকে তাহলে ধান পানিতে হেলে পড়বে। আর এতে করে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কারণ অতিবৃষ্টিতে ফসলি মাঠে পানি জমে গেছে।
ভেদুরিয়া চটকিমারা চরের কৃষক আমীর হোসেন বলেন, এখন আমন ধানের মৌসুম ধানে ফুল এসেছে। এই সময়ে অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধানে চিটা ধরে যাবে। তাহলে আমাদের ধান যখন ঘরে তোলা হবে তখন ধানের বদলে চিটা বেশি পাওয়া যাবে। বেশি বাতাসে ধান পানিতে ডুবে থাকবে, এতে করে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোলার চরের সবজি চাষী সাহাবুদ্দিন ফরাজী বলেন, আগাম ফলের আশায় আগেই চাষ করেছি। এক মিধিলিতে আমাদের স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে। পূর্ব ইলিশা ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জশিম হাওলাদার বলেন, আমাদের এলাকায় চার-পাঁচটা ঘর গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সদর উপজেলা কৃষি উপ সহকারী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে আমন ধান ও শাক সবজির ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহাবুউদ্দিন জানান, ৫৩০ হেক্টর আমন ধান, শীতকালিন সবজি ৮৫ হেক্টর, গম ১০ হেক্টর, শরিষা ১১০, খেসারী ৬০ হেক্টর নষ্ট হয়েছে। তবে কৃষকদের জন্য এখনো কোন বরাদ্দ আসেনি তবে বোরোধান বীজ দেওয়া হবে। ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবীর এর বক্তব্য নিতে একাধিক বার ফোন দিলেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।