ভোলার ভেদুরিয়ায় আগুন পুড়ে ছাই ১২ বছরের শিশু সুমাইয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলার ভেদুরিয়ায় গভীর রাতে ঘরে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে ১২ বছরের শিশু সুমাইয়া। রাতের গভীরে ঘরে আগুন লাগলেও ১২ বছরের শিশু সুমাইয়া ওই আগুন থেকে বাঁচতে পারেনি, পুড়ে ছাই হয়ে গেল সুমাইয়া। ভোলা সদর উপজেলা ভেদুরিয়া ৪নং ওয়ার্ড টেকেরহাট দেলোয়ার হোসেন পন্ডিত বাড়ি শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাত্র অনুমানিক ১টায় নুর ইসলাম পন্ডিতের ঘরে আগুন লাগে। ঘর থেকে অনেক কিছু বের করতে পারলেও বের করতে পারেননি মৃত সুমাইয়াকে, ওই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সুমাইয়া।
স্থানীয়ভাবে শুনতে পাওয়া যায়, পরিকল্পিতভাবেই সুমাইয়াকে মারা হয়েছে বাঁচাতে পারলেও ইচ্ছা ছিল না সুমাইয়াকে বাঁচাবার, এমনটাই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সুমাইয়া এক জন মানসিক রোগী ছিলেন বলে জানা যায়, এতিম বলেই এমনটা হয়েছে তার দীর্ঘদিন পর্যন্ত মায়ের কাছে এবং নানা বাড়িতে কাটিয়েছেন সুমাইয়া। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে দাদা বাড়িতে বেড়াতে আসেন, রাতের গভীরে ঘরে আগুন লেগে ওই আগুনে পুড়ে সুমাইয়া হয়ে যায় ছাই।
এই বিষয়ে আয়েশা বিবি বলেন, রাতের গভীরে ঘরে আগুন এই বিষয়টি আমার ছোট নাতি আমাকে বলেন দাদু ঘরের পিছনে টিনে আগুন লাগছে। এই কথা বলার সাথে সাথে আমি গার ফিরিয়ে দেখতে না দেখতে ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে আমি নাতিন সুমাইয়াকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি এবং নাতিনকে খুঁজে পাইনি হয়তো সে খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন আগুনের জন্য বের করতে পারেনি।
সুমাইয়ার মা খুকুমণি জানান, ঘরের সকল কিছু বের করতে পেরেছে, কিন্তু আমার মেয়েকে কি বের করতে পারেনি ? হয়তো পারতো, কিন্তু আমার মেয়েকে তারা বের করেনি। আমার মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে আগের দিন বলে আমার দাদী আমাকে মারছে মা, তুমি আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাও। আমি বলেছিলাম, মা তুমি থাকো আমি আসবো, আইসা তোমাকে নিয়ে যাব, আমি ঠিকই এসেছি কিন্তু আমার মাকে আমি আগুনে পুড়া ছাই পেয়েছি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর সার্কেলের এসপি জানান, বিষয়টি আমরা দেখেছি এবং যেটা পেয়েছি রাত্র গভীরে আগুন লেগেছে এবং সেখানে ফায়ার সার্ভিস এর কাছে ফোন করা হয়েছে কিন্তু ফায়ার সার্ভিস যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে সময় মত আসতে পারেনি তারা আসার আগেই এলাকার জনগণ আগুনকে নিভিয়েছেন এবং সেখানে একজন শিশু মারা গিয়েছে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।