সর্বশেষঃ

ভোলার ভেদুরিয়ায় বেবি তরমুজ চাষ করে কৃষক আবদুর রহিমের সাফল্য

হারুন অর রশীদ ॥ ভোলায় অমৌসূমি বেবি তরমুজ করে সফলতা পাচ্ছে অনেক কৃষক। পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার দিয়ে সর্জান পদ্বতিতে মাচা তৈরী করে তরমুজ চাষ করার ফলে পোকা মাকর, আগাছার বালাই না থাকায় বেশি লাভভান হচ্ছে কৃষকরা। অন্যদিকে মাচার নিচে চাষ হচ্ছে তেলাপিয়া ও সরপুটি মাছ।
ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চরকালি গ্রামের কৃষক আবদুর রহিম। কয়েক বছর ধরে তার পরিত্যাক্ত জমিতে বিভিন্ন শবজি চাষ করে লোকশান গুনতে হয়েছে। এবার সর্জান পদ্বতির মাধ্যমে চাষ করেছে বেবি তরমুজ। একই সাথে মাচায় তরমুজ ও মাচার নিচে চাষ করছে বিভিন্ন দেশীয় মাছ। তার পচিশ শতাংশ জমিতে পাচটি আট করে বীজ রোপন করে। চল্লিশ দিনের মাথায় গাছে ফলন আসতে শুরু করে। তার আটশত চারায় প্রায় সহস্রাধিক ফলন এসেছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি। ভালো ফলন হওয়ায় খুশি ও সফলতার আশাবাদি আবদুর রহিম। বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ষাট টাকা দরে। তার এ ফলন দেখে অনেক কৃষকই বেবি তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে। আবদুর রহিমের মতো অনেক কৃষকই অতরমুজ চাষ করেতে আগ্রহী হচ্ছেন বাজারে চাহিদা রয়েছে প্রচুর। গাছের ফলন দেখে অনেক কৃষক রহিমের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছে।


গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার কৃষি কমৃকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেন চৌধুরী, জানান পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা বিনামূল্যে আঃ রহমানসহ বেশ কয়েকজন কৃষকদের সহযোগিতা দিয়ে আসছে। সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে, মালচিং পেপার, বীজ, জৈবসার ও রাসয়নিক সার ও পরামশ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এফ এম সাহাবুদ্দিন, জানান তার কৃষকদের বেবি তরমুজ চাষে আগ্রহী করছে এবং পোকার আক্রমন যাতে না হয় সে জন্য ফেরোমন ফাদ ব্যাবহারের জন্য পরামর্শ এবং নানা সহযোগিতা করে আসছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।