আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের ১৫ সদস্য গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ঢাকার কেরানীগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের ১৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. স্বপন হাওলাদার, মো. মাসুদ হাওলাদার, মো. রাকিব সরদার, মো. রিপন মৃধা, মো. আকাশ, মো. রুবেল সরদার, রাজন মিয়া, মো. ফারুক খান, হেলাল বেপারী, মো. রেজাউল, মো. রনি কাজী, টিপু হাওলাদার, মো. সোহেল, মো. মামুন সিকদার, মো. রাজিব হোসেন। রবিবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নিজ কার্যালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় অটোচালক সুন্দর আলী আব্দুল্লাহপুর স্ট্যান্ড থেকে তার পরিচিত যাত্রী হাফেজ মো. নুরুল ইসলামকে নিয়ে চরগুলগুলিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। তাদের রিকশাটি বাহাদুর ভিটার সামনে পৌঁছলে তারা দেখতে পান, রাস্তার ওপর গাছ কেটে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে একদল ডাকাত। ডাকাতদলটি সুন্দর আলীসহ তার গাড়িতে থাকা নুরুল ইসলামকে গলায় রামদা ও ছেনদা ধরে রাস্তার ওপর থেকে রাস্তার নিচে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। মারধরের এক পর্যায়ে তারা সুন্দর আলীর সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, একটি স্যামস্যাং মোবাইল ফোন ও হাফেজ নুরুল ইসলামের কাছে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। এরপর ডাকাতদল তাদের হাত-পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় বিলের মধ্যে ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, ‘সুন্দর আলী ও হাফেজ নুরুল ইসলামের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর যাত্রী হাফেজ মো. নুরুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসে উক্ত ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরানীগঞ্জ সার্কেলের নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামানের দিকনির্দেশনায় একটি চৌকস তদন্তদল গঠন করা হয়। তদন্তদল ঘটনাস্থলের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ ডাকাতদলকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আঁটিবাজার, জিনজিরা এবং মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগসহ ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে আন্ত জেলা ডাকাতচক্রের ১৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবির সাহাব, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামান। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।