জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা নির্বাচিত হলেন আমেনা ফাহিম
মোঃ মিরাজ হোসাইন ॥ প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিনিয়ত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমেনা ফাহিম। দৌলতখান উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ার পর এবার জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়ে চমক দিলেন আমেনা ফাহিম। তিনি পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে বাবা মার প্রথম সন্তান। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতিমনা পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। মা বাবা দু’জনেই তাকে সকল কাজে নানা উৎসাহ উদ্দীপনা যুগিয়ে তিলে তিলে বড় করেছেন। বর্তমানে তিনি দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় তাকে স্বীকৃতি হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। মেধাবী শিক্ষিকা আমেনা ফাহিম দীর্ঘদিন ধরে দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিক্ষামূলক ও সামাজিক কর্মকা-ের সাথে জড়িত আছেন। তিনি একাধারে একজন শিক্ষিকা, কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, উপস্থাপক ও সমাজকর্মী।
এছাড়াও তিনি তার নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়নতা, অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছে জনপ্রিয় শিক্ষিকা হিসেবে পরিচিত। তিনি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আকর্ষণীয় পাঠদান থেকে শুরু করে সমাবেশ, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, বিশেষ ক্লাস নেওয়া সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে সক্রিয় অংশগ্রহন। এছাড়াও শিক্ষা মেলা, উন্নয়ন মেলা, প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো কর্মসূচিতে তিনি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
উপজেলার একাধিক শিক্ষকরা জানান, আমেনা ফাহিম আমাদের দৌলতখানের গর্ব। সকল কাজে তার আগ্রহ, উদ্দীপনা, দায়িত্ববোধ আমাদেরকে মুগ্ধ করে তোলে। শিক্ষার্থীদের কাছেও তিনি খুব জনপ্রিয়। সঠিক শিক্ষিকা নির্বাচনের জন্য যাচাই বাছাই কমিটিকেও তারা ধন্যবাদ জানান।
আমেনা ফাহিম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমি উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ার পর এবার জেলা পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ হলাম। আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। আমাকে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে নির্বাচিত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি সকলের প্রতি বিন¤্র চিত্তে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, আমি শ্রেষ্ঠ হতে চাইনা,আমি কর্মে বিশ্বাসী। যতদিন বাঁচব ভালো কাজ করে যাবো। তিনি নির্বাচন কমিটির সকল সদস্য, বিদ্যালয়ের সহকর্মী, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, বন্ধু বান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমি ভিজিটে গিয়েও উনাকে শ্রেণিকক্ষে পাঠটিকা ও উপকরণসহ পাঠদানরত অবস্থায় পেয়েছি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক, খেলাধূলাসহ বিভিন্ন আয়োজনে জেলা পর্যায়ে উনাকে দায়িত্ব পালনে সক্রিয় থাকতে দেখেছি। আমি খুব আনন্দিত এজন্য যে, আমার উপজেলা থেকে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন।