সর্বশেষঃ

ভোলায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না নিত্যপণ্য

শিমুল চৌধুরী ॥ ভোলায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছেনা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। সরকার নির্ধারিত মূল্যর চেয়ে অধিক দামে ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রয় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে বাজােরের বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা যায় সরকারের নির্ধারণ করা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলো বিক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকার এক হালি ডিমের দাম ৪৮ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ভোলায় এক হালি ডিমের দাম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আলু ৩৫টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। এবং পেঁয়াজ ৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫টাকায়।
ভোক্তারা জানান, প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যদি প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতো তাহলে আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারতাম। ভোলা শহরের যুগিরঘোল এলাকার খুচরা বিক্রেতা মো: হানিফ মঙ্গলবার জানান, তিনি এক হালি ডিম বিক্রি করছেন ৫০টাকায়। তিনি আরও বলেন, একশো ডিম কিনতে হয়েছে এক হাজার ১৮০ টাকা দরে।
অপর খুচরা বিক্রেতা মো: পারভেজ জানান, তিনি এক কেজি পিঁয়াজ ৩৬ টাকা এবং এক কেজি আলু ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন।
ভোলা শহরের যুগিরঘোল এলাকার এক ব্যবসায়ী মোসলে উদ্দিন বলেন, ভোলায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছেনা। তিনি বলেন, ডিমের হালী বিক্রি করা হচ্ছে ৫০টাকায়। আর আলু-পিঁয়াজও সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করছেন না কেউ। প্রশাসনের নজরদারির দাবি করেন তিনি।
তবে, ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ভোলা সদর উপজেলায় সরকার নির্ধারিত মূল্যেই ডিম বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ডিম ১২ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। হালী বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। আলুও বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা কেজি দরে। সরকার নির্ধারিত মূল্যও ৩৬ টাকা কেজি। তিনি আরও বলেন, গ্রামে হয়তো ২-১ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি হতে পারে। তবুও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের অভিযান চলছে। সোমবার সদর উপজেলায় অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ইউএনও তৌহিদুল ইসলাম।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।