লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
দায়িত্ব এক অফিসে, কাজ করেন অন্য অফিসে !
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
হাসনাঈন আমার স্টাফ : ইউএনও। হাসনাঈন আমার স্টাফ না : এ্যাসিল্যান্ড
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ভোলা সদর উপজেলার পরিষদের অফিস সহায়ক হাসনাঈন আহমেদ সদর উপজেলার ভূমি অফিসের রুম দখল করে বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করছেন বলে এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার কাজ-কর্ম হওয়ার কথা উপজেলা পরিষদকে ঘিরে, কিন্তু তিনি ক্ষমতার দাপটে অফিস করেন উপজেলা ভূমি অফিসে ! তার এই ক্ষমতার উৎস কি ? কেন-ই বা তার আসল কর্মস্থলে কাজ করছেন না তা নিয়ে চলছে উপজেলা ভূমি অফিসে কানাঘুসা।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, হাসনাঈন আহমেদ এর অফিসিয়ালী কর্মক্ষেত্র উপজেলা পরিষদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কার্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত উপজেলায় কাজ না করে ভূমি অফিসে দালালির মাধ্যমে কাজ করেন। পরবর্তীতে ভূমি অফিসের একটি রুম নিয়ে অফিস সাজিয়ে সেখানে নামজারি, মিসকেইস, দাখিলা, জমা খারিজ, সই মহর, সার্ভে কোর্টে মামলা পরিচালনাসহ সকল প্রকার কাজ করে যাচ্ছেন, যা তিনি বিজ্ঞাপন আকারে ফেসবুক ওয়ালে প্রচার করেন। অফিস শেষে কালিনাথ রায়ের বাজার মোড়ে ব্যক্তিগত অফিস নিয়ে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভূমি অফিসের এক স্টাফ বলেন, উনি (হাসনাঈন) ইউএনও অফিসের লোক। কিন্তু কিভাবে কার ক্ষমতায় আমাদের অফিসের রুম দখল করে কাজ পরিচালনা, দালালি করেন এবং বিভিন্ন মানুষের কাজ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। ওনার কারণে আমাদের অফিসে আগের চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়। অথচ ইউএনও, এ্যাসিল্যান্ড স্যারের মত এত ভালো মানুষ আমরা এর আগে কখনও পাইনি।
ভুক্তভোগী রঞ্জিত তালুকদার জানন, তার ৬৫ শতাংশ জমি কবির হোসেন গংরা বিভিন্ন অনিয়মভাবে নামজারি করে নেন। তিনি এই নামজারির বিরুদ্ধে আপিল করেন। যার নং মিসকেইস ২০-ভো, ১১৭-ভো। রঞ্জিত এর পক্ষে রায় দেয়ার পরও হাসনাঈন আহমেদ অফিসকে পুনরায় ম্যানেজ করে আবার ওই কেইস কবির হোসেন গংদের নামেই বহাল রাখেন। তিনি জানান, হাসনাঈনের কারণে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়।
এ সমল অভিযোগ এর ব্যাপারে জানতে হাসনাঈন আহমেদ এর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলী সুজা বলেন, তিনি আমার অফিসের স্টাফ না। তা হলে কি করে অন্য অফিসের লোক এই অফিসে কাজ করে এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসনাঈন আমার স্টাফ। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।