ভোলায় বলৎকারের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক ॥ অতপর কারাগারে

বনি আমিন (ইলিশা) ॥ ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন ফেরীঘাটের বিশিষ্ট ব্যাসায়ী মোহাম্মদ আলি (মাঝি) দ্বারা তার দোকানের ছোট ছেলে কর্মচারী মো: সোহেল বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু একবার না, কয়েকজনের সাথে তিনি এই অনৈতিক কাজ করছে বলেও জানা যায়। ঘটনাটি বিস্তারিত জানতে চাইলে বিকটিমের পরিবার ঘটনাটি আমাদের কাছে বলেন, ছেলেটিকে যে সময় মোহাম্মদ আলির দোকানে দিয়েছে ওই সময় থেকে ছেলেটির সাথে প্রতি রাতে মোহাম্মদ আলি এই অনৈতিক কাজ করতে থাকে।
ছেলেটির মা আরো বলেন, ছেলেটির বাবা না থাকার কারণে সংসারে অভাব ছিল, তাই আমি ছেলেটিকে মোহাম্মদ আলির দোকানে দিয়েছি। কিন্তু দোকানে কিছু দিন কাজ করার পর ছেলেটি আর ওই দোকানে যেতে চাইনি। ছেলেটির মা তাকে জিজ্ঞেস করে কি সমস্যা তুই দোকানে যাবি না কেন। তখন ছেলেটি তার মার গলা ধরে তার মাকে বলতে থাকেন। দোকান মালিক ভালো না, তিনি রাতে আমার সাথে অনৈতিক কাজ করে এবং আমাকে ভয় দেখায়। আমি যদি কাউকে, এইসব কথা বলি তিনি আমাকে বোস্তা ভরে নদীতে ফেলে দিবে। এছাড়াও দোকান চুরির মামলা দিবে, পুলিশের ভয় দেখায়। তাই আমি এতোদিন কাউকে কিছু বলিনি।
এই বিষয় দোকান মালিক মোহাম্মদ আলির সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সব নাকি মেম্বার ফরিদে জানে। ফরিদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনা সত্য বলে ফরিদের কাছে মোহাম্মদ আলি স্বীকার করেন। এদিকে এ ঘটনায় সোহেলের মা মিনারা বেগম বাদি হয়ে ভোলা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৬৩৪৩, তারিখ-৩/৯/২৩ইং। ওই মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত মোঃ আলীকে আটক করে। পরবর্তীতে কোর্টে প্রেরণ করলে তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিন্দ্র নাথ সিংহ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, থানায় মামলার পর আমরা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করি। তাকে আটকের পর কোর্টে প্রেরণ করলে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী মাঝিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।