শের-ই-বাংলা মেডিকেলে শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং

তথ্য সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকরা

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ওই ছাত্রী র‌্যাগিংয়ের শিকার হন। এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য শনিবার (২৬ আগস্ট) সাংবাদিকরা কলেজে গেলে হামলার শিকার হন। জানা যায়, শনিবার কলেজ অধ্যক্ষের কাছে র‌্যাগিংয়ের বিচার চাইতে যান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এদিন সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার শাকিল মাহমুদ, চিত্র সাংবাদিক সুমন হাসানসহ চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হোসেন রানা, চিত্র সাংবাদিক রুহুল আমিন, বাংলা নিউজ ২৪ এর রিপোর্টার মুসফিক সৌরভ, এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার ফিরোজ মোস্তাফা ও চিত্র সাংবাদিক আজিম শরিফ যান তথ্য সংগ্রহে। এ সময় ভুক্তভোগীর বক্তব্য নেয়ায় সাংবাদিকদের পিটিয়েছেন কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. সৈয়দ বাকী বিল্লাহ ও প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার সাহা।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা জানান, ভুক্তভোগীরা তাদের বক্তব্য গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরায় হঠাৎ সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় দুই চিকিৎসক। এসময় সাংবাদিকদের রুম থেকে বের করে দিয়ে র‌্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে আটকে রাখে দুই চিকিৎসক।
সময় টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো রিপোর্টার শাকিল মাহামুদ জানান, ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় হঠাৎ করেই ডা. বাকী ও ডা. প্রবীর আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের ক্যামেরা ও ট্রাইপড ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার কারণ কি আমরা জানি না। র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
চ্যানেল ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হোসেন রানা বলেন, আমরা সাক্ষাৎকারের জন্য বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের ওপর হামলা করাটা তাদের অপকর্ম ঢাকার প্রক্রিয়া। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ এসে গেট খুলে দুপুর ২টার দিকে আমাদের উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা ঘটনার বিচার চাই। এদিকে এই ঘটনার পর দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের মধ্যস্থতায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিক নেতারা আলোচনায় বসেন। এরপর হামলাকারী দুই চিকিৎসক হামলার শিকার সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, দুপক্ষকে বসিয়ে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।