বৃষ্টিতে কদড় বাড়ে লালমোহনের ছাতার কারিগরদের

জাহিদ দুলাল, লালমোহন প্রতিনিধি ॥ আষাঢ় শ্রাবণ মাস বর্ষা ঋতু। এই দুই মাস বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও আষাঢ় মাসে তেমন একটা বৃষ্টি ছিল না এ বছর। শ্রাবণ মাস শেষ হওয়ার পথে। শ্রাবণ মাসের শুরুর দিকে তেমন একটা বৃষ্টি না হলেও শেষ দিকে একটানা বৃষ্টি মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বর্ষায় বাইরে বের হতে হলে মানুষের সবচেয়ে জরুরী প্রয়োজন ছাতা। ছাতা এমন একটি জরুরী পন্য যা শুধু বর্ষা ঋতুতেই নয় সারা বছরেই মানুষ এটি ব্যবহার করে নিজ প্রয়োজনে। এই ছাতা ব্যবহার করার পর যখন ভাঙে বা নষ্ট হয় তখনই মেরামতের জন্য প্রয়োজন ছাতার কারিগরদের।
ভোলার লালমোহনে আগে ছাতার কোনো কারিগর ছিল না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাতা মেরামত করতে লালমোহনে আসতেন ছাতার কারিগররা। জৈষ্ঠ্য মাসের শেষদিকে এসে আশ্বিন মাসের শেষ দিকে চলে যেতেন তারা। বেশিরভাগ বিক্রমপুর আর ফরিদপুর থেকে এসে তারা রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে ছাতা মেরামত করতেন। তখনকার অনেকে না গিয়ে লালমোহনে স্থায়ী নিবাস গড়েছেন। পর্যায়ক্রমে ও বংশ পরম্পরায় তারা রাস্তার ফুটপাতে বসে ভাঙা ছাতা মেরামত করতেন। সারা বছর ছাতার কারিগরদের কদর না থাকলেও বর্ষায় তাদের চাঁহিদা থাকে বেশ। বর্ষা এলেই বাড়ে তাদের কদর।
গত একসপ্তাহে টানা বৃষ্টির কারণে ভোলার লালমোহনের ছাতা কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুক্রবার সকালে লালমোহন বাজারের মুক্তিযোদ্ধা এ্যাভিনিউ রোডের পূর্ব পাশের ফুটপাতে ছাতা মেরামতে ব্যস্ত ছিলেন নাজিউর রহমান (৭০)। দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে তিনি ছাতা মেরামতের সাথে যুক্ত। কাজের ফাঁকে তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, এখন বৃষ্টির কারণে কাজের একটু চাপ বেশি। বৃষ্টির সময় ছাতা মেরামতের কাজ বেশি হয়। তবে অন্য সময় তেমন একটা কাজ থাকে না। লালমোহন চৌরাস্তার মোড়ের পাশে বসা ছাতা কারিগর মোঃ মনির (৫০) বলেন, এখন কিছু কাজ আছে। তবে অন্য সময় বসেই থাকতে হয়। লালমোহনের আরেক ছাতা কারিগর গাজীউর রহমান (৪৮) বলেন, বৃষ্টি হলে ছাতা মেরামতের মোটামুটি কাজকর্ম হয়। তবে বছরের অন্য দিনগুলোতে সেরকম কাজ হয় না।
সকল ছাতার কারিগরদের দাবী আমরা রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে কাজ করি। আমাদের নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই। লালমোহন পৌরসভা থেকে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দিলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।