ইলিশা লঞ্চঘাটে পল্টুন কম থাকায় লঞ্চ রাখতে গিয়ে ভেঙ্গে যায় পল্টুন, বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

বনি আমিন, ইলিশা: ভোলা জেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম ঘাট ইলিশা লঞ্চঘাট। এখানে সকাল থেকে শুরু করে রাত ১১ টা পর্যন্ত ঢাকা, লক্ষ্মীপুর, পাতারহাট, চরফ্যাশন, মনপুরা, হাতিয়া, সন্দীপসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার লঞ্চ যাতায়াত করে। পল্টুন কম থাকায় ঘাট দিতে গিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একটি লঞ্চ পল্টুুনে থাকলে অন্যটি ঘাট দিতে পারেনা। জোরাজুরি করে ঘাটে ঢুকলে তখনই হয় দুর্ঘটনা।

ইলিশা ঘাটে লঞ্চ ঘাট দেওয়ার জন্য রয়েছে তিনটি পল্টুন যা লঞ্চ অনুযায়ী কম এই তিনটি পল্টুনে ১৫টিরও বেশি লঞ্চ ঘাট দেয়। সকালবেলা ঢাকা এবং লক্ষ্মীপুর যাত্রী একসাথে ঘাটে চাপ দেয়। ঢাকার এবং লক্ষ্মীপুরের লঞ্চ একই সাথে ঘাটে থাকে। ঢাকা গামী লঞ্চগুলো বড় বড় হওয়ার কারণে পল্টুনের জায়গা কমে যায় এতে অন্য লঞ্চ ঘাট দিতে কষ্টদায়ক হয়ে যায় বলে, লঞ্চ মাস্টার জোর করে জায়গা দখল করে নিতে হয় পল্টুনে।

অনেক সময় লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করে যাত্রীরা লঞ্চ পল্টনে, তখন একটি লঞ্চ ঘাটে থাকলে অন্য একটি লঞ্চ পল্টনে জায়গা না ফেলে জায়গা দখল করার জন্য এসে ধাক্কা দেয় পল্টুনে,এতে অপেক্ষাকৃত যাত্রীরা পড়ে যায় নদীতে ভেঙে যায় পল্টন। কয়েকদিন আগে শতাব্দি বাঁধন নামক একটি লঞ্চ ইলিশা ঘাটের একটি পল্টুনে লঞ্চ ঘাট দিতেগিয়ে জায়গা না পেয়ে জায়গা দখল করতে গিয়ে ভেঙে ফেলে পল্টুন।
বরিশাল থেকে লক্ষ্মীপুর যাতায়াতকৃত রাজহংসের লঞ্চের নজরুল মাস্টার এর সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার বিষয়ে বলতে অনিহা দেখান তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য এক লঞ্চ মাস্টার স্বীকার করেন।

লঞ্চগামী যাত্রীরা বলেন লঞ্চ অনুযায়ী পল্টুন কম থাকার কারণে পল্টুনে লঞ্চ ঘাট দিতে পল্টন নিয়ে পারাপারি করতে দেখা যায় লঞ্চ মাস্টারদের এতে অনেক সময় ভেঙে যায় পল্টন এতে যাত্রীদের পড়তে হয় দুর্ভোগে।

তাই সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা বলেন তাদের কথা চিন্তা করে ইলিশা ঘাটে যেন যেন বাড়ানো হয় পল্টুন
এবং বিআইডব্লিউটিএ ভোলার দায়িত্বরত জনাব শহীদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন কিছু দিনের ভিতরে আরো কয়েকটি পল্টুনের কাজ করবেন বলে জানান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।