স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের দাবী ভোলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর

ভোলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী জানিয়েছে।

সোমবার(১০ জুলাই) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের মারফত জানা যায় প্রতি বছরই হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগে তাদের মধ্যে অনেকে আক্রান্ত হয় এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করে, যার অন্যতম কারণ বিভিন্ন ধরনের তামাক পণ্য যেমন সিগারেট, বিড়ি, জর্দা গুল ইত্যাদির ব্যবহার।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর (বেদে) প্রতিনিধি কহিনুর বেগম বলেন, তামাক জাতীয় দ্রব্য যেমন বিড়ি, সিগারেট সেবনে করার ফলে স্বাস্থ্য ক্ষতি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। বর্তমান আইনে বিড়ি সিগারেট সহজে পাওয়া যায়,ফলে যুবক ও কিশোররা বিড়ি,সিগারেটে আসক্ত হয়। তাই তামাক নিয়ন্ত্রন আইন সংশোধন হলে বিড়ি,সিগারেট সহজে পাওয়া যাবে না ফলে যুবক ও কিশোররা স্বাস্থ্য ক্ষতি ও পরিবার অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। তাই আমাদের দাবী, সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রন আইন দ্রুত পাশ হোক।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর(জেলে) প্রতিনিধি মো: বশির মাঝি বলেন, মুদি দোকানে বিড়ি সিগারেটের প্রর্দশনী, তামাক দ্রব্যের খুচরা শলাকা বিক্রয় করার ফলে সহজে তরুণরা আকৃষ্ট হয়ে এগুলো ক্রয় করতে পারে এবং সেবনে আসক্ত হয়। ফলে পরিবারে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তাই তামাক নিয়ন্ত্রন আইন সংশোধন হলে বিড়ি,সিগারেট সহজে পাওয়া যাবে না ফলে যুবক ও কিশোররা স্বাস্থ্য ক্ষতি ও পরিবার অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।
“তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জেলে পরিবারের দাবী যেন সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশ করা হয়।“
উল্লেখ্য যে, বিগত দুই বছর যাবত বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি-দাওয়া করে আসছিলেন। অবশেষে, ২০২২ সালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বিশ্বমানে উন্নীত করতে সংশোধনী প্রস্তাব প্রণয়ন করে। ১৬ জুন ২০২২ তারিখে সংশোধনী প্রস্তাব জনমত যাচাইয়ের জন্য জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এবং সংশোধনীর পক্ষে ১৬০০০ জনেরও অধিক ইতিবাচক মতামত প্রদান করেন। মতামত প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ১৬৯ জন সাংসদ। ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে চূড়ান্ত সংশোধনীটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রীপরিষদে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক যাচাইবাছাই পূর্বক খসড়াটি পাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত ও সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অন্যতম ৬ টি ধারা হলো-সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা শলাকা বিক্রয় বন্ধ করা এবং বিড়ি ও সিগারেটের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা।
উল্লেখ্য যে, ভোলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠিী ইতি পূবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত ও সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের জন্য মানববন্ধন, রালি ও লিপলেটসহ দাবী জানাইয়া আসচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।