বোরহানউদ্দিনে বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৪ পালিত, সম্মাননা পেলেন ৫ জয়িতা
ভোলায় বিএনপির গণমিছিল
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জেলা বিএনপির নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে গণমিছিল করেছে ভোলা জেলা বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে ভোলা জেলা বিএনপি আয়োজিত গণমিছিলটি মহাজনপট্টি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে সদর রোড, নতুন বাজার, বাসস্ট্যান্ড, কালিনাথ রায়ের বাজার প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। র্যালী শেষে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ ভোলা জেলা বিএনপির নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেওয়ায় বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউর রহমান কিরণ, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর বিএনপির সভাপতি আঃ রব আকন, যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক বশির হাওলাদার, যুগ্ম আহ্বায়ক মার্শাল হিমু, জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফেরদৌস, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকব আকন, জেলা শ্রমিকদল সভাপতি শহিদুল ইসলাম মানিক, জেলা ছাত্রদল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়া জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্চাসেবক দল, শ্রমিক দল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এই ফ্যাস্যবাদী সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শর্তহীন মুক্তি চাই। এছাড়াও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। মানুষ আয়ের সাথে ব্যায় মিলাতে পারছে না। বাজারে গেলে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগের নেতা থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত সবাই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তারা ব্যাংক, ব্যালেন্স করেছে। বিদেশে টাকা পাচার করছে। অথচ দেশের মানুষ না খেয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না।
বক্তার আরও বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তার সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।