লালমোহনে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

লালমোহন প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহনে নূরানী মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে এক শিক্ষক। মেডিকেল রিপোর্টে ওই শিশুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে লালমোহন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং: ২২। ৫০ বছর বয়সী অভিযুক্ত মো. জহির ওরফে হক সাহেব লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ তারাগঞ্জ এলাকার মো. শফিউল্লাহর ছেলে। এছাড়া তিনি লালমোহন পৌরশহরের পাকার মাথা এলাকার দক্ষিণ পাশে খাদিমুল ইনসান নূরানী মাদরাসার শিক্ষক। ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবার লালমোহন পৌরশহরের বাসিন্দা। ঘটনার পর মাদরাসাটি বন্ধ করে পালিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, পৌর শহরের খাদিমুল ইনসান নূরানী মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই শিশু। এছাড়া অভিযুক্ত জহির ওরফে হক সাহেবও ওই মাদরাসার শিক্ষক। গত বুধবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জহির নামের ওই শিক্ষক শিশুটিকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে মাদরাসা থেকে তাকে সঙ্গে নিয়ে বের হন। এরপর লালমোহন করিমুন্নেসা-হাফিজ মহিলা ডিগ্রী কলেজের কাছাকাছি এসে শিশুটিকে জোরপূর্বক নির্জন সুপারি বাগানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশু বাসায় গিয়ে কান্না করতে করতে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
ওসি মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবারের লোকজন শুক্রবার থানায় আসলে শিশুর মেডিকেল টেস্টের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেডিকেল টেস্টে শিশুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। এরপর তারা ভোলা থেকে এসে শুক্রবার রাতে থানায় একটি মামলা করে। তবে এরই মধ্যে আত্মগোপনে চলে যায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। তবুও আমরা আসামি গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।