সাংসদরা জনগণের চেয়ে নিজেদের স্বার্থই বেশি দেখেন : সুজনের সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয় সাংসদরা দেশের জনগণের কথা না ভেবে নিজেদের স্বার্থই বেশি দেখছেন। শনিবার একটি কলেজে অনুষ্ঠিত জেলা সুজনের এক সভায় বক্তাগণ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জেলা সুজনের সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হোসনে আরা বেগম চিনুসহ নাগরিক সমাজের নানা স্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তাগণ বলেন, দ্রব্য মূল্য আজ ক্রয়সীমার বাহিরে। দুর্নীতিবাজ ও ধনীদের কষ্ট হয় না কিন্তু সাধারণ মানুষ আজ হিমশিম খাচ্ছে। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাত দিয়ে এদেশের দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী সাংসদদের সহযোগিতায় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। অতীতে সাবেক সফল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ ধরনের ঘটনা দক্ষ ভাবে সামলালেও বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী চরম ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সীমাহীন বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে। দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও সাংসদদের সিন্ডিকেটের কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা অতীতের মত এবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সফল হননি।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের পুকুরের পূর্ব পাশে একটি বৃহৎ তিন তলা মসজিদ থাকা সত্ত্বেও সেই পুকুরেরই পশ্চিম পাশে পুকুরের অর্ধেক ভরাটসহ কবি মোজাম্মেল হক টাউন হল ভেঙ্গে নতুন আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি অন্যত্র প্রতিষ্ঠা করা কিংবা পুকুরের পূর্বের পাশের বর্তমান তিন তালা মসজিদ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভেঙে নতুন মসজিদটি করার জন্য নাগরিক সমাজের প্রস্তাব ছিলো।
সভায় বক্তারা মনে করেন মসজিদ নির্মাণের নামে পুকুর ভরাটের মাধ্যমে দুর্নীতি করার পথ বের করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পুকুর জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ হলেও শহরের শতাধিক পুকুর ভরাট হয়েছে, যার ফলে অতীতের বিভিন্ন অগ্নিকা-ের ঘটনায় আগুন নিভানোর মতো পানি পাওয়া যায় নি।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও দ্বীপ জেলা হওয়া সত্ত্বেও ভোলায় সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ভোলা সদর উপজেলা সুজনের সভাপতি ও মাসুমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইব্রাহিম, ভোলা পৌর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক গোলাম মাহমুদ, কলেজ শিক্ষক মো: বাসেদ, কলেজ শিক্ষক কামরুল আহসান হিরন, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক মো: বশির, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ নন্দী, নারী নেত্রী বিলকিস জাহান মুনমুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুছ ছাজিদ চৌধুরী, জাগো বাঙালির সম্পাদক রাশেদ হোসেন রুবেল, মিজানুর রহমান, হাফেজ মো: বনী আমিন, জামাল সিকদার, শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুজন আহমেদ, সুমাইয়া, জামিলা, সুজন আহমেদ প্রমূখ।