বাংলাবাজার আঞ্চলিক যুবদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
লালমোহন চতলা খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদ!
জাহিদ দুলাল, লালমোহন ॥ ভোলার লালমোহন উপজেলা সদর থেকে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে যাতায়াতের প্রধান সড়কের উপর নির্মিত চতলাবাজারের উত্তর পাশে চতলা খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির দু পাশের রেলিং ভেঙে ব্রিজটি চলাচলের অনুপোয়োগী হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর আগেই। ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে গিয়ে বিশাল গর্তে পরিনত হয়েছে। ইট ও ঢালাই খসে পড়ে ভেঙে যাওয়া ব্রিজের রডের ফাঁক দিয়ে নিচে খালের পানি দেখা যাচ্ছে। ব্রিজটি এখন জন সাধারণের জন্য মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ঘটছে প্রতিনিয়তই ছোট বড় দুর্ঘটনা। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাতœক দুর্ঘটনা। প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন অনেকে।
স্থানীরা ব্রিজটির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য গাছ, কাঠ ও তক্তা দিয়ে জোড়া তালির মাধ্যমে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে কাঠ ও তক্তা ভেঙ্গে গেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের চালকদের। ভাঙা ব্রিজটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিক্সা, ভ্যান, অটো ও মটরসাইকেল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ব্রিজটির উপর দিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্ধা ও বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ নিরব মহাজন, মাও মোঃ মোসলেহ উদ্দীন ও আনিচল হক মিয়া বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল ও যানবাহন যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে, ব্রিজটি ভাঙার কারনে যানবাহন আসা যাওয়া করতে পারেনা। দীর্ঘ দিন ব্রিজটি ভেঙে রয়েছে দেখার যেন কেউ নেই। সফিজল ও বজলুর রহমান নামের ২ জন ব্যক্তি বলেন প্রতিদিন এই ব্রিজটি কয়েকশত মানুষ ও যাত্রীবাহী গাড়ী আসা যাওয়া করে ব্রিজটা পূননির্মাণ করা জরুরী ।
স্থানীয় মাসুদ মিয়া বলেন, চরম ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়ার পথে ব্রিজটি ভাঙার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন দূর্ঘটনা পতিত হয়েছেন। আমি নিজেও ভাঙা যায়গায় পরে মারাত্মক আহত হয়েছি। গিয়াস উদ্দিন রাসেল বলেন, এই ব্রিজটি দিয়ে যাত্রী বাহী গাড়ি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন শতশত মানুষ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা এখান দিয়ে মারাতœক ঝুঁকি নিয়ে আসে এবং যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটার আগেই ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে নির্মান করার দাবী জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের নিকট।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, ব্রিজটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। উক্ত ব্রিজটি ছাড়াও উপজেলায় মোট ১২ টি ব্রিজ সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।