ইয়ামিন হোসেন
ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা বাঘার হাওলা গ্রামে জমি ভোগ দখলে রাখতে এবং প্রতিপক্ষ কে ফাঁসাতে নিজের শরীর কেটে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুলাল (৫৫) নামের এক ব্যক্তির বিরু’দ্ধে।
যদিও দুলালের দাবী তাকে রশিদ ও ইউনুস নামে দুই ব্যক্তি জখম করেছে।
১২ই জুন সন্ধ্যায় ইলিশা ৫নং ওয়ার্ডের হাজী বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, দুলালের সাথে রশিদ গংদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধীয় জমিতে দুলাল কলাগাছ লাগিয়েছে। রশিদ দুলালকে জিজ্ঞেস করেছে, কেনো তিনি কলাগাছ লাগিয়েছে, এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হঠাৎ দুলাল বলেন, তোদের শিক্ষা দিবো, প্রয়োজন একটা মার্ডার করবো, একথা বলেই নিজের ঘরে গিয়ে নিজের গায়ে আঘাত করেন।
দুলালের এ পরিস্থিতি দেখে রশিদ পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুলালকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
শিয়াব উদ্দিন নামের এক শিশু বলেন, আমাদের সামনেই ঘরে দৌড়ে গিয়ে দুলাল হাজী তার গায়ে আঘাত করেছে।
রাবেয়া ও জশিম বলেন, দুলাল খুবই সাহসী এর আগেও নিজের বাবার গলা কেটে মামলা দিয়েছে। গতকাল ও একই কাহিনী করেছে দুলাল।
দুলালের মেয়ে রুবিনা বলেন, আমার বাবার সাথে ঝগড়া হয়েছে তখন আমি ছিলাম সেখানে তবে কে আঘাত করেছে আপনার বাবাকে এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন সেটা তদন্ত করে দেখেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুলাল বলেন, রশিদ ও ইউনুস আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে।
রশিদ বলেন, দুলালের গায়ে আমি আঘাত করিনি, দুলাল এর আগেও তার নিজের বাবাকে কুপিয়ে তার আত্মীয় স্বজনের নামে মামলা করেছে। আমি পবিত্র কুরআন শরীফ মাথায় দিয়ে বলতে পারবো আমি আঘাত করিনি।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি শাহীন ফকির বিপিএম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, খুবই গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত না এমন কেউ হয়রানী হবে না বলেও জানিয়েছে ওসি।