বাংলাবাজার আঞ্চলিক যুবদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ঠিকাদার কর্তৃক উদ্যোক্তা লাঞ্ছিত !
ভোলার বিসিকে কোটি টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ
এইচ এম নাহিদ ॥ ভোলার বিসিক শিল্পনগরীর তত্বাবধায়নে অবকাঠামো উন্নয়নের কোটি টাকার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যাবহার করার কারণে উদ্যোক্তারা বাঁধা প্রদান করলে ঠিকাদার কর্তৃক উদ্যোক্তাদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে (৬ জুন) মঙ্গলবার দুপুরের দিকে। ঘটনায় বিসিক উদ্যোক্তারা জোট হয়ে উক্ত উন্নয়নমূলক কাজটি ঐদিনই বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে বিসিক কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বনাম সাধারণ উদ্যোক্তাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, বিসিক প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম রাস্তা কালভার্ডের কাজ হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কিছুটা উচ্ছাসিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিন্মমানের সামগ্রী ব্যাবহারে আমাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করলে আমরা বিষয়টি বিসিক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় আমরা প্রতিবাদ করি। এই কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস মা এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি নোমান ও তার লোকজন নিয়ে আমাদের লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কোন বিচার পাইনি।
তারা আরো বলেন, যদি রাস্তা কালভার্ড না করে এই বরাদ্দ দিয়ে আমাদের বিসিকে গ্যাস লাইনের সংযোগের ব্যাবস্থা করে দিত তাহলে ভোলার বিসিকের উদ্যোক্তারা সব চাইতে বেশি উপকৃত হত। রাস্তা, কালভার্ড করে, নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে সরকারি বরাদ্দ লুটপাট করে খাওয়ার পায়তারা মাত্র।
ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মি. তানজিল হাসান ও মি. নোমান বলছেন, উদ্যোক্তাদের সাথে আমাদের একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এটা আমরা ঠিক করে নিব। ভোলা বিসিক কর্মকর্তা মো, রিয়াজ উল হাসান ও উপ-ব্যাবস্থাপক এসএম সোহাগ হোসেন উদ্যোক্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সৃষ্ট ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলছেন, উদ্যোক্তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মের্সাস রবিন এন্টার প্রাইজ ও মের্সাস মা এন্টার প্রাইজকে আমাদের খুলনার আঞ্চলিক অফিসের কর্মকতারা প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন। যাহাতে ভবিষ্যতে আর এমনটা না হয়।
বিসিক খুলনা আঞ্চলিক অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিয়াংকা সরকার ভোলার বাণী’কে বলেন, আমার আঞ্চলিক পরিচালক মহোদয় তাহেরা নাসরিন ও আমি ঘটনার দিন ভোলাতে ভিজিটে ছিলাম। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিন্মমানের সামগ্রী ব্যাবহার করেছে তার সত্যতা আমরা খুঁজে পেয়েছি। কাজটি জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে, তাই কাজটি আমরা বন্ধ করিনি। তাছাড়া আমাদের লোকবলের অভাবে কাজটি সঠিকভাবে মনিটরিং করতে পারছিনা। তারপরেও ঠিকাদারকে সতর্ক করে দিয়েছি যাহাতে সব কিছু ম্যানেজ করে কাজটি সম্পন্ন করেন।