ভোলায় জেলা পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

চালের পুষ্টি বিদ্যমান থাকতে হবে : উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গর্ভবতী মায়ের জন্য ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা জিংক সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সে জন্য সরকার তথা খাদ্য ও কৃষি বিভাগ পুষ্টিকর ধান উৎপাদনে সহায়তা প্রদান করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভোলার হল রুমে শনিবার (২৭ মে) জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সদ্বীপ কুমার দাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দৌলতখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুরা ছিদ্দিকা, মনপুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু নোমান, তজুমদ্দিন উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা, খাদ্য অধিদপ্তরের তজুমদ্দিন কর্মকর্তা অবনি মোহন দাস, লালমোহন উপজেলা কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, ভোলা সদর উপজেলার মোঃ রুবেল মিয়া, ভোলা অটো রাইস মিল লিমিটেড এর প্রতিনিধি মোঃ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় সকল বক্তগণ জানান, নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সঠিক পুষ্টি বিদ্যমান রাখতে জিংক সমৃদ্ধ পুষ্টিকর ধান উৎপাদনে জোরদার করার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিংক সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তা বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, গর্ভবতী নারীদের ৪৩.৪ ভাগ এবং শিশু ৩১ পুষ্টি খাটতি থাকবে। তাই জিংক সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এই গুরুত্ব দিতে হবে। ভোলা জেলা বিভিন্ন উপজেলায় ২১হাজার বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ এর সঞ্চালনায় জিংক ধান উৎপাদন বিষয়ে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন গেইম বাংলাদেশ এর ড. এম মনির উদ্দিন। উল্লেখ্য, গেইন বাংলাদেশ এনজিও সংস্থার সহযোগিতায় জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ও জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন উপজেলার অফিসার ও কর্মকর্তা এবং কৃষক নিয়ে আলোচনা অংশগ্রহণ করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।