ইলিশা ফেরী টার্মিনাল চার্জ আদায়ের টেন্ডার ও ওপেনিংয়ে অনিয়মের অভিযোগ

ইয়ামিন হোসেন।
ভোলার আলোচিত ইলিশা ফেরীঘাট নানান অনিয়মে বারবার শিরোনাম হলেও সন্তোষজনক কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। প্রতিযোগিতা এবং রাজনীতিক কৌশলে অতিরিক্ত দামে ইজারা নিয়ে চাঁদাবাজীর স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেন কেউ কেউ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলীয় ২১টি জেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ইলিশা ফেরীঘাট। এ ঘাটে অসাধু একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে পুরো জেলাকে বদনাম করে তুলেন পরিবহণ ড্রাইভার ও ব্যবসায়ীদের কাছে। রাজনীতির খেলা ও অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের লোভের কারনেই এই সিন্ডিকেট বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তিনগুণে ঘাট ইজারা নিয়ে অর্পকমে লিপ্ত হয়ে যা ইচ্ছে তা করে টাকা উৎসুল করেন ওই চক্ররা। এবার ফেরী টার্মিনাল চার্জ আদায়ের ইজারার দরপত্র গ্রহণে ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে ইজারায় অংশ নেওয়া এক দরদাতা জানান, ১৮ মে ২০২৩ তারিখে ভোলা নদীবন্দরে অবস্থিত সহকারী পরিচালক এবং সহ বন্দর ও পরিবহণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইলিশা ফেরি টার্মিনাল চার্জ আদায় কেন্দ্র ইজারার ২০২৩ -২০২৪ অর্থ বছরের টেন্ডারে ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত টেন্ডার দাখিলের শর্তাবলী যথাযথ ভাবে মেনে ৪০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ইজারা মূল্যে নির্ধারণ করে সহকারী পরিচালক এবং সহ বন্দর পরিবহণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস কক্ষের টেন্ডার বক্সে দাখিল করি। অভিযোগে আরো বলেন, গত ৩ই মে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশিত ইজারার শর্ত মেনে দাখিল করা হলেও সহকারী পরিচালক ও সহ বন্দর পরিবহণ কর্মকর্তার কার্যালয় ভোলাতে শর্তাবলীতে উল্লেখিত সময় অনুসারে অথাৎ ২:১৫ মিনিটের সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের উপস্থিতে টেন্ডার উন্মক্তকরণ/ওপেনিং করা হয়। এবং আমার দরপত্র এর রেট ভোলা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক ও সহ নদী বন্দর পরিবহণ কর্মকর্তা মোবাইলে ঢাকা বিআইডব্লিউটিএ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেন। অভিযোগকারী আরো বলেন, আমার প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত থেকে ওই কর্মকর্তার কাছে টেন্ডার দাখিলের উল্লেখিত স্থান সমূহের ওপেনিং রেজাল্ট অথাৎ টেন্ডার দাখিল করার অন্যান্য স্থান সমূহের কোন দরপত্র দাখিল হয়েছে কিনা তা জানার দাবী করলেও ওই কর্মকর্তা তা জানাতে ব্যর্থ হন এবং অপারগতা প্রকাশ করেন। এবং এটা হেড অফিসের বিষয় বলে এড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে বিকাল ৪:৫০ মিনিটে ওই কর্মকর্তা জানান সোবাহানা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৪৫ লক্ষ টাকার উদ্ধে ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ এর অফিসে দরপত্র দাখিল করেছেন।
অভিযোগে টেন্ডার প্রক্রিয়া ও ওপেনিং অস্বচ্ছতা দাবী করে পূর্ণরায় ইলিশা ফেরী টার্মিনাল চার্জ আদায়ের কেন্দ্রের ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রি- টেন্ডার করার দাবী জানান ওই দরদাতা।
এ বিষয়ে ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকায় জানানো আমার দায়িত্ব তবে স্বচ্ছতার সাথে হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে সেটা ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন এ কর্মকর্তা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।