শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তোফায়েল আহমেদ
সেই দিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে পতাকা তুলে দেয়ার কারণে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেয়েছি
মোঃ ওমর ফারুক ॥ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ভোলা-১ সদর আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ১৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৮১ সালের এইদিনে বাংলার মাটিতে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্যা কন্যা, আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন ঝড়ের দিন ছিল, আমি তার পাশে ছিলাম। এক পাশে আমি এবং অপর পাশে আব্দুর রাজ্জাক ভাই। সেদিন তার হাতে পতাকা তুলে দেয়ার কারণে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেয়েছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিচার হবেনা এই ইনডেমনিটি দিয়েছিল মেজর জিয়াউর রহমান। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর বিচার কাজ প্রশস্থ করা হয়। পরবর্তীতে হত্যাকারীদের বিচার করে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলানো হয়েছে। কত চেষ্টা করা হয়েছিল তিনি যেনো বাংলাদেশে আসতে না পারেন। আজ আমরা তাকে নিয়ে গর্ব করি, তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তিনি খুব দক্ষ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ ভাবতে কত ভালো লাগে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের রোড মডেল করে আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বুধবার (১৭ মে) বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র ছয় মাস বাকি, প্রত্যেক ওয়ার্ডে কমিটি করে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নির্বাচনে যাকেই মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষেই নির্বাচন করবো। সেদিন ১৭ মে যেভাবে আমরা তার পাশে ছিলাম, আজও আছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত আমরা তার পাশেই থাকবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মমিন টুলু’র সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, ভোলা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন তোফায়েল আহমেদ এর মেয়ে ডাক্তার তছলিমা আক্তার মুন্নী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দোস্ত মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, এনামুল হক আরজু, জেলা ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম গোলদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও ভোলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলামসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।