চরফ্যাশনে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ ৬ জন আহত
চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় ক্রাম বোড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারধরে শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যায় দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহত সবুজ বাদী হয়ে একই ওয়ার্ডের মো. আইয়ুব আলী (৩০), মো. মহিউদ্দিন (৫০), মো. জিহাদ (১৮), মো. সবুজ (২৫), মো. মহিন (২০), মো. ইলিয়াছ (২৫), মো. আরিফ (২০), রাকিব (২২) সহ ৮ জনকে বিবাদী করে দক্ষিণ আইচা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহতরা হলেন, মো. রাসেল (৩০), মো. আমানুল (১৮), বিউটি বেগম (৪৫), ইয়াছমিন (২৩), শিশু রাব্বি (২), ও মরিয়ম (২)।
আহত মো. সবুজ অভিযোগে জানান, একই ওয়ার্ডের বিবাদী মো. আইয়ুব আলীর ছেলে মো. জিহাদের সাথে আমার ছেলে আমানুলের সাথে স্থানীয় বেড়িবাঁধের উপরে দোকানের সামনে ক্রাম বোড খেলা নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটলে আমিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি মিমাংসা করে দেই। এরপর ওই ঘটনার জের ধরে গত রোববার ১৪ মে সন্ধ্যায় বিবাদী আইয়ুব আলী সহ ৮/৯ জন মিলে আমার বসত ঘরে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদেরকে গালমন্দ করতে থাকে। আমি তাদেরকে গালমন্দ করতে নিষেধ করলে তারা আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদের এলোপাথারী মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও জখম কওে এবং আমার বসত ঘরের টিনের ভেরা পিটাইয়া ভেঙে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এবং আমার বসত ঘরের বাক্সের তালা ভেঙে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা সহ প্রায় ১ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এসময় আমার ভাগিনা বউ ইয়াসমিন আগাইয়া আসলে তার চুল ধরিয়া মাটিতে শোয়াইয়া কাপড়-চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে। এবং সকল বিবাদীরা আমার ছেলে মেয়েদেরকেও এলোপাথারী মারধর করে ফুলা জখম করে তখন আমরা ডাকচিৎকার করিলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসিলে সকলের সম্মুখে বিবাদীরা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলে যায়। পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠালে প্রাথমিক ভাবে আমরা ৫ জনে চিকিৎসা সেবা নেই। কিন্তু আমার ভাগিনা মো. রাসেলের অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্সে ভর্তি প্রেরণ করেন। এ বিষয়টি আমি আমার আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করে ওইদিন সন্ধ্যাই থানায় হাজির হইয়া অভিযোগ দায়ের করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আইয়ুব আলী নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা তাদের বসত ঘরে হামলা ও প্রবেশ করেনি। মারধর যা হইছে বেড়িবাঁধের উপরেই হয়েছে। এর বাহিরে তিনি আর মন্তব্য করেননি।
দক্ষিণ আইচা থানার (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।