সোনাপুর-চাচড়ায় বসছে জিও ব্যাগ

এমপি শাওনের নির্দেশে তজুমদ্দিনে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধ রাতেই মেরামত

রফিক সাদী ॥ ভোলার তজুমদ্দিনে ঠিকাদারি কাজের মালামাল পরিবহনের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাটার ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি ঢুকে গুরিন্দা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা শিরোনামে স্থানীয় দৈনিক ভোলার বাণীসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নির্দেশে রাতেই বাঁধ মেরামত করেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চাচড়া ও সোনাপুর ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ বেড়ীবাঁধ দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেয়ে আসছে এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত তজুমদ্দিনে ঝুকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এলজিইডির দেড় কোটি টাকার একটি রাস্তার সংস্কার কাজের জন্য প্রথমে গুরিন্দা এলাকার ওই বাঁধ কাটা হয়। সরিয়ে ফেলা হয় জিও ব্যাগ। নদী থেকে মাথায় বয়ে পাথর পরিবহণের ব্যয় কমাতে বাঁধের কিছু অংশ কেটে ট্রাকযোগে পাথর পরিবহণের জন্য বাঁধটি কাটেন এলজিইডি ঠিকাদার। মালামাল পরিবহনের কাজ শেষ হলেও তারা বাঁধ মেরামত করা হয়নি। ফলে ঝুঁকি ও আশংকায় ছিল দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বিষয়টি গনমাধ্যম ও প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোলা-৩ সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন অবহিত হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করেন।


সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিশু জানান, এমপি শাওনের নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় সোনাপুরে ঝুকিপূর্ণ প্রায় ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ বসিয়ে মেরামতের কাজ চলছে। যাতে ঘূর্ণিঝড়ে অতি জোয়ারে পানি ডুকতে না পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ঝুকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাঁদপুর ইউনিয়নের গুরিন্দা এলাকায় শুক্রবার রাতেই বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করা হয় এবং চাচড়া ইউনিয়নে ৩৭০ মিটার ও সোনাপুর ইউনিয়নের ১ কিলোমিটার ঝুকিপূর্ণ বাঁধে জরুরি ভিত্তিতে মাটি ভরাট করে জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজ চলছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।