ভোলায় মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়ে জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলায় অবৈধভাবে জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় মিথ্যা ও সাজানো মামলায় দিয়ে জিয়া সুপার মার্কেটের আবু নাঈম নামের এক ব্যবসায়ীকে জেল খাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী আবু নাঈমের ছোট ভাই মোঃ দুলাল অভিযোগ করে বলেন, ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরপোটকা গ্রামে ৪১ নং হালে ৬৬ নং চরপোটকা মৌজায় এস, এ ২৩৭/২৩৬/৮৯/১৪৯/নং খতিয়ানের চূড়ান্ত বি, এস ২৯৯ নং খতিয়ানের ৬ শতাংশ জমি আমার মাতার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হইয়া ভোগ দখল করিতেছি এবং উক্ত সম্পত্তিতে আমারা একটি ঘর উত্তোলন করি। আমাদের প্রতিপক্ষ ওয়ারিশগণ জমির পূর্ণ ফয়সালা না হওয়ার আগেই তাদের জমি বিক্রি করে দেয় এবং পাওনার চেয়েও অধিক জায়গায় লইয়া ঘর উত্তোলনকালে আমরা বাঁধা দেই এবং ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ তদন্তে যাইয়া কাজ বন্ধ করিয়া দেয় এবং আমাদের উভয় পক্ষকে ফয়সালার জন্য থানায় ডাকে। আমাদের প্রতিপক্ষ শামসুদ্দিন গংরা নতুন করিয়া ফন্দি আটে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়া কিভাবে হেনস্থা করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে শামসুদ্দিন নিজের ৯ বছরের মেয়ে খাদিজাকে দাবার গুটি বানিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। গত ১ মে ২০২৩ইং তারিখে জিয়া সুপার মার্কেটে আমাদের দোকানে গিয়ে মোঃ আবুল হাসনাত নামের ভোলা সদর থানার এক এস আই আমাদেরকে ওসির বরাত দিয়ে থানায় চায়ের দাওয়াত দিলে আমরা থানায় যাই। তারপর পুলিশ সেই মামলায় আমাদেরকে গ্রেফতার দেখায়। যদিও আমরা সেই মামলা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। পরেরদিন আদালত আমার বড় ভাই নাঈমের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং আমিসহ মামলার অন্য আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে। যখন আমি আমার বড় ভাইয়ের জামিন করানোর জন্য বিভিন্ন অ্যাডভোকেটদের কাছে ব্যাস্ত হয়ে পরি সেই সুযোগে আমাদের প্রতিপক্ষ সামছুদ্দিন গংরা খালি ময়দানে আমাদের বাড়িঘর লুট করে এবং অবশিষ্ট ঘরটিও উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে মোঃ নাঈম খাদিজাকে খুন করার উদ্দেশ্যে খাদিজার মাথা লক্ষ্য করিয়া দা দিয়া কোপ দেয় খাদিজা মাথা একটু সরাইয়া নিলে উক্ত কোপ খাদিজার কানে লাগিয়া কান ফাটিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
কিন্তু শুক্রবার (৫ মে) এই প্রতিবেদক সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, সামছুদ্দিন মিয়ার ৯ বছরের মেয়ে খাদিজা তার নানা বাড়িতে বেড়াতে গেলে একই বাড়ির মোঃ ইদ্রিস পুকুর থেকে জাল দিয়া মাছ ধরিয়া ওই জাল শুকাইতে উঠানে টাঙিয়ে দেয়। খাদিজা খেলার ছলে দৌড় দিলে ওই জালের সঙ্গে খাদিজার কানে থাকা স্বর্ণের কান ফুল পেঁচাইয়া পড়িয়া টান খাইলে কান ছিড়িয়া যায় এবং ওই স্বর্ণের কান ফুল মাটিতে পড়িয়া যায়।
খাদিজার ডাক চিৎকার শুনিয়া ফারুক হোসেনের স্ত্রী জোসনা বেগম ছুটিয়া আসে এবং তার রক্ত বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
এদিকে একই বাড়ির লতিফ খার ছেলে সোহাগ জানান, জোসনা বেগম রক্ত বন্ধ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হইলে আমি বায়োডিন নিয়ে ছুটিয়া আসি এবং খাদিজার রক্তাক্ত কানে বায়োডিন লাগিয়ে দেই এবং ভোলা সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেই।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত সামছুদ্দিকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি ফলে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল হাসনাত এর কাছে মামলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় এসেছি ঢাকা থেকে ভোলা আসলে মামলার ব্যাপারে বলতে পারবো।