ভোলার বাণীতে সংবাদ প্রকাশের পর পরিচয় মিলল উদ্ধার হওয়া নারীর

চরফ্যাশন প্রতিনিধি।। দৈনিক ভোলার বানীতে প্রকাশের পর ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে মায়া নদী থেকে শিকলবন্দী অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় মিলেছে।

ওই নারীর নাম পারুল বেগম (৪৫)। সে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন নজরুল নগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চর আর কলমি ক্লোজার বাজারের পূর্ব পাশের মৃত জালাল আহম্মেদের মেয়ে। ওই নারী একজন চিরকুমারী।

গত বৃহস্পতিবার ( ৪ মে) শশীভূষণ থানার রসুলপুর কলমি ব্রীজ সংলগ্ন মায়া নদী থেকে শিকলবন্দী নারীর লাশ উদ্ধারের সংবাদ প্রকাশের ১২ ঘন্টা পর ওই নারীর পরিবারের তথ্য অনুযায়ী শশীভূষণ থানা পুলিশ নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নারীর ছোট ভাই বারেক রাজ বলেন, শিকলবন্দী উদ্ধার হাওয়া নারী আমার বড় বোন পারুল বেগম। সে একজন মানুষিক ভারসাম্যহীন। ২৫ বছর যাবত মানুষিক ভারসাম্যহীন বিধায় তাকে শিকল দিয়ে তালা মেরে রাখা হয়েছে বাড়িতে। হটাৎ গত ২ মে মঙ্গলবার ভোর ৬ টার সময় ভাতরুমে যাওয়ার জন্য শিকল ছেড়ে দেয়া হলে এরপর থেকে নিখোঁজ হন বড় বোন পারুল। সম্ভাব্য স্থানে খুজেও আর পাইনি। এদিকে বৃহস্পতিবার ৪ মে সকালে দৈনিক ভোলার বানীতে প্রকাশের পর জানতে পারি কলমি ব্রীজের দক্ষিণ পাশ সংলগ্ন মায়া নদীতে একটি নারীর ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে তারা থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এরপর শশীভূষণ থানা পুলিশকে আমার বড় বোন পারুল বেগমের সম্পর্কে বর্ননা দিলে আমাদের তথ্য অনুযায়ী শশীভূষণ থানা পুলিশ উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় সনাক্ত করে এবং জানতে পারি ওই নারী আমার বড় বোন পারুল বেগম।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে শশীভূষণ থানার (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, নিহতের পরিবারের তথ্য অনুযায়ী লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।