সর্বশেষঃ

মনপুরায় বাথরুমে আটকিয়ে বিধবাকে পেটালেন চেয়ারম্যান নেজাম

 

ইয়ামিন হোসেন।
ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নেজাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে এক বিধবা নারীকে বাথরুমে আটকিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী নারী ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত্যু রুহুল আমিনের স্ত্রী ও সরকারী আশ্রয় প্রকল্পের বাসিন্দা।
গত মঙ্গলবার (১৮ই এপ্রিল) হাজিরহাট ইউপি পরিষদে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী নারী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী নারী বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে আমি চেয়ারম্যান নেজাম হাওলাদারের বাড়ীতে গিয়ে তার কাছে একটি চালের কার্ড চায়। এসময় চেয়ারম্যান আমাকে গালমন্দ করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি আশার সময় চেয়ারম্যান এর লোকজনের সামনে তার গাছ থেকে ৪/৫ টা আম ছিঁড়ে নিয়ে আসছি।
আমি বাড়ীতে আসলে কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান চকিদার পাঠিয়ে আমাকে বাড়ী থেকে নিয়ে পরিষদের বাথরুমের অনেক সময় আটকিয়ে রেখে মোটা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। পরবর্তীতে আমার মা গিয়ে আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসে এবং চেয়ারম্যান চিকিৎসার জন্য ৫শ টাকা দিয়েছে। আমি চিকিৎসার জন্য মনপুরা হাসপাতালে গেলে সেখানে নেজাম হাওলাদারের লোকজন আমাকে ভর্তি হতে দেইনি তাই ভোলা হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি।
হামলার শিকার হওয়া বিধবা নারী বলেন, আমার মেয়ে কে ৩ মাস রেখে স্বামী রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছেন। এই ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করে আসছি আমি। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে আমি থাকি। আজ আমাকে মানুষের সামনে পিটিয়ে জখম করেছে চেয়ারম্যান। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।
ভুক্তভোগী নারী হাসপাতালে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেন ইলিয়াস চৌধুরী নামের এক যুবক। চেয়ারম্যান নেজাম হাওলাদার এর প্রতিনিধি হয়ে হাসপাতালে আশা ওই যুবক সাংবাদিকদের বলেন চেয়ারম্যান অপরাধ করে তিনি এখন অনুতপ্ত তাই আমাদের পাঠিয়েছেন।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান নেজাম হাওলাদারের বক্তব্য নিতে একাদিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিছিভ করেননি এবং তার হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস দিলেও রিপ্লাই করেননি।
এই বিষয়ে মনপুরা থানার ওসি সাঈদ আহমেদ বলেন ভুক্তভোগী নারী মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।