হাসিব ও আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবী

ভোলায় বাবু হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে আসামী পক্ষের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার : ভোলার রাজাপুরের আলোচিত তারেক মাহমুদ বাবু হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের সব্বোর্চ শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিবাদীরা। এ সময় নিহত বাবুর সাথে ঘটনার সময় থাকা হাসিব ও আলী সিয়ালীকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের দাবীও জানিয়েছে তারা। ১২ই এপ্রিল দুপুরে ভোলা শহরের একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কবির উদ্দিন বলেন, গত ২৭শে মার্চ আমি তারাবী নামাজ পড়ে ক্লোজারবাজার আমার ফার্মেসীতে যাওয়ার পর খবর পাই, হেলাল মেম্বারের বাড়ীর সামনে বাবুকে মারধর করে। হেলাল মেম্বারের বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় দুই ঘন্টা রাখার পর ৯৯৯ এ পুলিশ এসে বাবুকে উদ্ধার করে ভোলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুর মৃত্যু হয়।
কবির হোসেন আরো বলেন, বাবুর সাথে হাওলাদার বাজার থেকে এক সাথে গেলো হেলাল মেম্বারের ছেলে হাসিব ও ওই এলাকার আলী সিয়ালী তাহলে তারা কোন আহত হলো না বাবু হলো কেনো? আর আমাদের সাথে বিরোধ হেলাল মেম্বারের সাথে বাবুর সাথে নয়, তাহলে আমরা বাবুর উপর হামলা করবো কেনো? আমাদের হয়রানী করার জন্য হেলাল মেম্বার এ চক্রান্ত করে বাবুকে হত্যা করেছে বলে দাবী করেন কবির হোসেন।
নাজিম ফকির জানান, বাবু আহত হলে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে হেলাল মেম্বারের বাসায় নিয়ে দুই ঘন্টার মত রাখলো কেনো? নিশ্চয়ই বাবুর মৃত্যু ঘটনা তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিলো। বাবুর সাথে থাকা হাসিব ও আলী সিয়ালীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বাবুর মৃত্যুর রহস্য বের হয়ে আসবে বলে দাবী করেন নাজিম।
আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, হেলাল মেম্বার আমার আপন ভাই, আমার থেকে তাকে ভালো কেউ চিনে না। হেলাল মেম্বার নানা অর্পকমের সাথে জড়িত, তার এই অর্পকমের প্রতিবাদ করায় আমাকে আর আমার ছেলেকে বাবু হত্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে। আলাউদ্দিন হাওলাদার আরো বলেন, হাসিব আর আলী সিয়ালী কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বাবুর মৃত্যুর রহস্য বের হয়ে আসবে।
জান্নাত বেগম বলেন, আমার স্বামী আনোয়ার গাজী ঘটনার সময় মেহেন্দীগঞ্জে ছিলো তাকে পূর্ব শক্রতা হাসিলের জন্য মামলায় জড়িয়ে আমাদের দোকানপাট দখলে নিয়েছে আলী সিয়ালী, হানিফ সিয়ালী, মিন্টু দেওয়ান, আবু তাহের ও নিজাম।
আনোয়ার গাজী বলেন, বাবু হত্যা যে পরিকল্পিত এটা হেলাল মেম্বারের দেওয়া একটি ভিডিওতেই ক্লিয়ার হয়েছে। আনোয়ার বলেন, হেলাল মেম্বার সাংবাদিকদের সাথে বাবুর পরিবার কে কথা বলতে দেইনি। আবার সেখানে মেম্বার বলেছে যে সকালে এক রকম সাক্ষাতকার দিয়েছে এখন আরেক রকম হয়ে গেলে ঝামেলা হবে। দুই রকম হতে হবে কেনো? হেলাল মেম্বারের এই কথার মধ্যেই রহস্য আছে বলে দাবী করেন আনোয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে তারা হাসিব ও আলীকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ : গত ২৭শে মার্চ রাতে রাজাপুরের ক্লোজারবাজার এলাকায় তারেক মাহমুদ বাবু নামের এক যুবক দৃর্বত্তদের হামলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় নিহতের বোন শিখা বেগম বাদী হয়ে ভোলা থানায় ১২জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।