সর্বশেষঃ

ভোলার লালমোহনে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনষ্টিকে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

জাহিদ দুলাল, লালমোহন ॥ ভোলার লালমোহনে গ্রীণ লাইফ ডায়গনষ্টিক এন্ড মেডিকেল সার্ভিস কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রসুতি মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই প্রসুতির নাম সিমু বেগম, সে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজিরপুর এলাকার প্রবাসী রিয়াজের স্ত্রী। সোমবার সকালে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সংলগ্ন ওই ক্লিনিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রসূতির বড় বোন রুনা জানান, রবিবার রাতে সিমুর প্রসব বেদনা দেখা দিলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে সিমুর আলট্রাসনোগ্রাম প্রয়োজন পড়ায় গ্রীণ লাইফ ডায়গনষ্টিক এন্ড মেডিকেল সার্ভিসে আসি। এ ক্লিনিকের ডাক্তার শাহানাজ পারভীনের কাছে আলট্রাসনোগ্রাম দেখাতে গেলে তিনি প্রসুতিকে এখানেই ভর্তি হতে বলেন। ডাক্তার শাহানাজ পারভীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, তাই তাকে বিশ্বাস করে আমরা ক্লিনিকে ভর্তি হই। কিন্তু সোমবার ভোরে যখন সিমুর তীব্র প্রসববেদনা দেখা দেয় তখন ডাক্তার শাহনাজ পারভীনকে অনেক খুজেও পাইনি। তাই ক্লিনিকের ক্লিনার পারভীন ও নার্স সোনিয়া এসে সিমুর ডেলিভারী করায়। তাদের অনবিজ্ঞতার কারণে নবজাতক মারা যায়। একই সাথে সিমুর অবস্থাও আশাঙ্কাজনক হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ডাক্তার শাহানাজ পারভীন বলেন, ওরা আমার কাছে ভিজিট দিয়ে দেখাতে এসেছে। আমি তাদেরকে সিজারের পরামর্শ দিলে তারা নরলালের জন্য অপেক্ষায় ছিল। নরমাল ডেলিভারীতে শিশু মারা গেছে এরপর আমি গিয়ে যাযা করার তা করেছি।
এ বিষয়ে গ্রীণ লাইফ ডায়গনষ্টিক এন্ড মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের পরিচালক আক্তার হোসেন ঝন্টু বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা। শুনেছি ওরা দায়িত্ব অবহেলা করছে।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তৈয়বুর রহমান বলেন, ডাক্তার শাহানাজ পারভীন বিনা বেতনে ৬ মাসের ছুটিতে আছেন। ছুটিতে থাকাকালীন তিনি কি করেন তা আমার জানা নেই। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা কোন রোগীকে ক্লিনিকে ভর্তি হতে উৎসাহিত করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, লালমোহনে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার। এসবের বেশির ভাগেরই কোন অনুমোদন নেই বলে জানা যায়। এর আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় গ্রীণ লাইফ ডায়গনষ্টিক এন্ড মেডিকেল সার্ভিসকে জরিমানা করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবুও থেমে নেই এসব অনুমোদনহীন ক্লিনিকগুলো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।